রংপুরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবীতে ছাত্রজনতার অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জিলা স্কুল মোড়ে রংপুরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, সদস্য বখতিয়ার শিশির, জামায়াতে মহানগর কমিটির সহকারী সেক্রেটারী রায়হান সিরাজী, এনসিপি নেতা আলমগীর নয়ন, আলমগীর কবির, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক খন্দকার নাহিদ হাসান, ইমরান আহমেদসহ অন্যরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, উত্তরের ৫টি জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার বুক চিরে তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ভারত এ নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে শুস্ক মৌসুমে পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এতে করে উত্তরাঞ্চল মরুময় হয়ে পড়েছে। উত্তরের প্রাণ-প্রকৃতি হুমকিতে পড়েছে। অপরদিকে বর্ষা মৌসুম আকস্মিকভাবে পানি ছেড়ে দেয়ায় স্বল্পকালীন বন্যায় ৫টি জেলার ঘরবাড়ি, ফসলী জমি, রাস্তাঘাট, অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রতি বছর সহস্রাধিক মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবীতে নদী পাড়ের মানুষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সাধারণ মানুষ আন্দোলন করে আসছে। বিগত সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বলে ভোট দিয়ে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা জানুয়ারীতে তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরুর কথা জানিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা হলে এ প্রকল্প ঝুলে যাবে বলে শংঙ্কা নদী আন্দোলন কর্মীদের। তাই নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার আগেই নিজস্ব কোষাগারের অর্থ দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবী জানিয়েছে তারা।
সরকার এটি না করলে ৫ জেলার মানুষকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচী পালনের হুশিয়ারী দেয়া হয় কর্মসূচী থেকে।