মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ সারাদেশ

জোবায়েদ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন: প্রেমের দ্বন্দ্বে খুন, গ্রেপ্তার তিনজন


প্রকাশ :

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. জোবায়েদ হোসেন (২৫) হত্যার ঘটনায় প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বই ছিল মূল কারণ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বংশাল থানা তদন্তে উঠে এসেছে, এক মেয়েকে কেন্দ্র করে দুই তরুণের বিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

ডিএমপির বংশাল থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন—মাহির রহমান (১৯), বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯) এবং ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)।

গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশালের নুর বক্স লেনের রৌশান ভিলার সিঁড়িঘরে ছুরিকাঘাতে খুন হন জোবায়েদ।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস.এন. নজরুল ইসলাম বলেন, মাহির রহমান ও বর্ষার মধ্যে দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অন্যদিকে নিহত জোবায়েদ বর্ষার বাসায় গিয়ে পড়াতেন, একপর্যায়ে তাদের মধ্যেও ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।

এ নিয়ে মাহির ও বর্ষার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এক মাস আগে থেকে বর্ষা মাহিরকে জোবায়েদকে হত্যার জন্য প্ররোচনা দিতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর বউবাজার এলাকা থেকে ৫০০ টাকায় একটি সুইচগিয়ার ছুরি কেনে।

ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জোবায়েদ বর্ষার বাসায় পড়াতে গেলে নিচতলায় ওঁৎ পেতে থাকা মাহির ও তার বন্ধু আয়লান তাকে আটকায়। বর্ষার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মাহির ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে জোবায়েদের গলায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হত্যার সময় বর্ষা বাসার তৃতীয় তলা থেকে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করছিল।

এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে কেরানীগঞ্জের ভাংনা এলাকা থেকে মাহির ও পল্টনের চামেলীবাগ থেকে আয়লানকে গ্রেপ্তার করে। এর আগেই রোববার রাতে বর্ষাকে বংশাল থেকে আটক করা হয়।

তিনজনের বিরুদ্ধেই হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটির তদন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।