বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের এমপি প্রার্থী শামা ওবায়েদ ইসলাম জন্য ধানের শীষে ভোট চেয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা বরুণ কুমার সরকার।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে শামা ওবায়েদ সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের সাড়ুকদিয়া পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গেলে তার সামনে বক্তব্য দিয়ে তিনি ভোট চান। বরুণ কুমার সরকার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বরুণ কুমার সরকার বলেন, ‘আমার জীবনের প্রথম ভোট আমি বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম কেএম ওবায়দুর রহমানকে দিয়েছি।
এরপর আমি আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। কিন্তু ভোট দিয়েছি নৌকার বিপক্ষে। কি কারণে দিয়েছি, তা আপনারা বুঝে নেন। আজকে সেই মরহুম কেএম ওবায়দুর রহমানের কন্যা শামা ওবায়েদ এসেছেন। অনেক বড় মাপের নেত্রী তিনি। আগামী নির্বাচনে আপনারা তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’
শামা ওবায়েদ সোমবার বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সালথা উপজেলার অন্তত ২০ পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘বিএনপির কাছে সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। আমরা হিন্দু-মুসলিম সমান চোখে দেখি। শারদীয় দুর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠতে পারে। তারা পূজামণ্ডপে এসে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করতে পারে। সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রতিটি মন্দিরে আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীরা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা পাহাড়া দেবে। যাতে করে কেউ কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে।’
নিজ দলের নেতাকর্মীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আপনারা যদি সালথায় উন্নয়ন করতে চান। তাহলে সব অপকর্ম, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলখবাজি, থানায় দালালি ও এসিল্যান্ড অফিসে ঘোরাঘুরি বন্ধ করতে হবে। তারপর জনগণের পাশে থাকতে হবে। আমি বেঁচে থাকতে আমার নির্বাচনী এলাকায় কাউকে অনৈতিক কাজ করতে দেব না।’
হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘শুধু পূজা নয়, যেকোনো প্রয়োজনে আমি আপনাদের পাশে আছি। আমার বাবা মরহুম কেএম ওবায়দুর রহমান সারাজীবন হিন্দু ভাই-বোনদের পাশে ছিলেন, আমিও আপনাদের পাশে থাকব। ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই।’
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, সিনিয়র সহসভাপতি শাহিন মাতুব্বর প্রমুখ।