বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ সারাদেশ

ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার


প্রকাশ :

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান: শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, “আমাদের সামনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই বীরদের এই রক্তস্রোত এবং মায়েদের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায়—তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন এবং কোটি মানুষের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি।”

বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, “রক্তস্নাত জুলাই-আগস্ট এক বছর পর আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্টদের নির্মম দমন-পীড়ন, নির্যাতন, গ্রেপ্তার, খুন-গুমের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটেছে। এখন আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার।”

খালেদা জিয়া জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আহত ও নিখোঁজদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, “তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল স্মরণে রাখবে। গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার ব্যক্তিদের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে, দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। প্রতিটি পরিবারকে সম্মান জানাতে হবে এবং তাদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।”

বিকেল ৩টায় ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে শহীদদের সম্মানার্থে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভার উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যের জন্য বেগম খালেদা জিয়া রাত ৭টা ৫০ মিনিটে যুক্ত হন।