রংপুরহত্যা মামলায় গ্রেফতারে নেপথ্যের জানিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক।মঙ্গলবার (২৪ জুন)বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জানান, ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান মাহমুদুল হক। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের অনিয়ম-দূর্নীতি’র বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় তিনি বাদীহয়ে মামলা দায়ের করে ছিলেন। ক্যাম্পাসে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা গঅভ্যূত্থানে শহীদ মানিক মিয়া হত্যা মামলায় আসামী হিসেবে মাহমুদুল হকের নাম যুক্ত করে দেয় । সর্বশেষ মুদি দোকানী ছমেস উদ্দিনের মৃত্যুর ১০ মাস পর হাজীরহাট মেট্রোপলিটন থানায় দায়েরকরা হত্যা মামলায় ৫৪ নম্বর আসামী করাহয় তাকে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেনি। উল্টো মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতার না করে, তড়িঘড়িকরে মাহমুদুল হককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকুরীচ্যুত করতে, তাকে এবং তার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলার আসামী করা হয়েছে। পুলিশকে ব্যবহার করে এমন ঘৃণ্য কাজকরেছে ষড়যন্ত্র কারীরা। তিনি ছমেস উদ্দিন ও মানিক মিয়ার মিথ্যা হত্যা মামলা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার, হাজীরহাট থানার ওসিকে বরখাস্তকরাসহ তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পুলিশ ও বেরোবি প্রশাসনের কাছে ষড়যন্ত্র কারীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানান। অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ দেখা না গেলে আন্দোলন কর্মসূচী গড়ে তোলার হুশিয়ারী দেন শিক্ষক মাহমুদুল হক। এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২ আগস্ট পুলিশ ও আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের ধাওয়ায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারাযান রংপুর নগরীর ১২নং ওয়ার্ডের রাধাকৃষ্ণপুর এলাকার ছমেস উদ্দিন (৬৫)। এ ঘটনায় চলতি বছরের ৩ জুন নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম বাদীহয়ে হাজীরহাট মেট্রোপলিটন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ৫৪ নং আসামী করাহয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হককে। ১৯ জুন বিকেলে সাড়ে ৩টায় নগরীর ধাপ এলাকার নিজবাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২২ জুন শিক্ষক মাহমুদুল হকের জামিন আবেদন করলে মেট্রোপলিটন হাজীরহাট আমলী আদালত তার জামিন শুনানীন নতুন তারিখ ধার্য করেন। একই দিনে বিকেলে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পূনরায় জামিনের আবেদন করা হলে ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ মার্জিয়া ইসলাম শিক্ষক মাহমুদুল হকের জামিন মঞ্জুর করেন।