রংপুরে ৪১ একর জমির ধান ক্ষেত নষ্টকরা ইটভাটা চালু করতে তোড়জোর শুরু হয়েছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভেঙ্গে ফেলা চিমনী ও ওয়াল নির্মাণকরছে পীরগাছার আলোচিত এমএসবি ব্রিকস। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইটভাটা মালিক বিএনপি নেতা মমিনুল ইসলাম একাজ করছেন বলে অভিযোগ কৃষকদের। কৃষক ও কৃষি রক্ষায় অবিলম্বে ইটভাটা চালুর প্রক্রিয়াকে বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন।
জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার বামন সর্দার পাড়া গ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন থেকে চলছিল এমএসবি ইটভাটা। জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই ভাটার অনুমোদন ছিল। তারপর আর নবায়ন করা হয়নি। হাইকোর্টে একটি মাত্র রীটকরে চলছে অবৈধ ইটভাটাটির কার্যক্রম। ইট ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে ৭৮ জন কৃষকের ৪১ একর জমির ধান পুড়ে নষ্টহয়ে যায়।এনিয়ে কৃষকরা আন্দোলন শুরু করলে সরেজমিন তদন্তে কৃষকের ধানের ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণকরে কৃষি অধিদপ্তর। প্রথমে ভাটা মালিক মমিনুল ইসলাম ক্ষতি পূরণ দিতে সম্মত হলেওপরে একাধিকবার উপজেলা পরিষদে কৃষকদের ডেকে টাকানা দিয়ে টালবাহানা করেন। এ ঘটনায় গত ৪ মে কৃষকরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ করেন এবং ভাটা উচ্ছেদের দাবি জানান। পরে (১৯ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে ইটভাটাটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর এক মাসনা যেতেই গত কয়েক দিন থেকে ভেঙ্গে ফেলা ইটভাটার চিমনী এবং ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেন মালিক পক্ষ। কিন্তু নেয়া হয়নি কোন অনুমতি কিংবা পরিবেশ ছাড়পত্র। ক্ষমতার জোরেই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাজ চালানোর অভিযোগ করছেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক বাদশা মিয়া, মদন মোহন, সুশান্তবর্মন, প্রদীপ চন্দ্র রায়, জয়নাল আবেদীন বলেন, মালিক বিএনপির প্রভাবশালী নেতা। তাই আইন-আদালত কাউকে তোয়াক্কা করছেন না। তিনি প্রভাব দেখিয়ে আবারো ইটভাটা চালুকরার জন্য ওয়াল (ক্লীং) ও চিমনী নির্মাণ করছেন। এই ভাটা চালু হলে কৃষকরা চরম ক্ষতি গ্রস্থ হবে। কোন ফসলঘরে তোলা যাবে না।
ইটভাটা ম্যানেজার মোনা চন্দ্র বর্মন বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। কিভাবে নির্মাণ হচ্ছে মালিক জানে। আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন।
ইটভাটা মালিক মমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভকরার পর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। কয়ে কবার চেষ্টাকরেও তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন, ইটভাটায় চিমনী পূনঃনির্মানের কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। আজ কৃষকরা আমার অফিসে এসে অভিযোগ দিয়েছে। আমি সরেজমিনে তদন্তকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।