লালমনিরহাটের আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ঈশার ওপর সহকারী অধ্যাপকের অযাচিত প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শারীরিক হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হামলার শিকার অধ্যক্ষ।
অভিযোগপত্র ও অধ্যক্ষ মো. ঈশার ভাষ্য অনুযায়ী, “প্রতিদিনের মতো আমি কলেজে দায়িত্ব পালন করছিলাম। সকাল আনুমানিক ১১টা ৩০ মিনিটে ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান মিঠুল আমার কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা হঠাৎই আমাকে বলেন—‘আপনার এই পদে দায়িত্ব পালনের কোনো যোগ্যতা নেই, এখনই পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর দিন ও কলেজ ছেড়ে দিন। নইলে আপনার জন্য খারাপ কিছু হবে।’”
তিনি আরও বলেন, “আমি তাদের উস্কানিমূলক কথায় কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালে তারা উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। আমি ভদ্রতা বজায় রাখার অনুরোধ জানালে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে রবিউল ইসলাম আমার শার্টের কলার ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এরপর পিছন দিক থেকে আমার হাত চেপে ধরা হয় এবং গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করা হয়। এতে আমি শ্বাস নিতে না পেরে প্রায় অচেতন হয়ে পড়ি। মুখ দিয়ে লালা বের হয় এবং আমি গোঙাতে থাকি। চিৎকার শুনে অন্যান্য শিক্ষকরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।”
এ বিষয়ে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফয়সাল বিন মোশারফ বলেন, “ঘটনার বিষয়ে খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক কলেজে ছুটে যাই। পুরো বিষয় শুনে পুলিশকে খবর দিই এবং থানায় লিখিত অভিযোগ করি। অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগামী বোর্ড মিটিংয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন কেটে দেন এবং পরবর্তীতে আর সংযুক্ত হননি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর নবী বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”