বুধবার দুপুরে উপজেলার বেনীপুর সীমান্তের ৬৪ নং প্রধান পিলারের নিকট শূন্য লাইনে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২৬ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জন শিশু, ৭ জন পুরুষ এবং ৬ জন মহিলা রয়েছেন। বুধবার রাতে বিজিবির মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবু হানিফ মো. সিহানুক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবির
পক্ষ থেকে জানানো হয়,
বিএসএফ ৩২ ব্যাটালিয়ন মহেশপুর
ব্যাটালিয়নকে (৫৮ বিজিবি) গতকাল
মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে
জানায়, ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করা ২৬ জন
বাংলাদেশিকে হরিয়ানা পুলিশ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তাঁদের ফেরত নিতে নাম,
ঠিকানা ও আত্মীয়স্বজনের মুঠোফোন
নম্বরসহ বিজিবিকে অনুরোধ জানানো হয়। যাচাই করে
২৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত
হয় বিজিবি। আজ বেলা দেড়টায়
বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের গ্রহণ করা করা হয়।
এরপর সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে
সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে তাঁদের জীবননগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর
করা বাংলাদেশিরা হলেন- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানার বড়ইল গ্রামের মোহাম্মদ
মকবুল হোসেন (৪৫) ও তার
স্ত্রী আছিয়া বেগম (৪০), বড় মেয়ে
মোছা. মরিয়ম (২৫) এবং ১৭,
১১, ৮ ও ৬
বছর বয়সী আরও চার
মেয়ে; একই গ্রামের মোহাম্মদ
আপেল মামুন (৪০) ও তার
২ ও ১ বছর
বয়সী দুই ছেলে; একই
থানাধীন আটিয়াবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আবুল কালাম (৪৫)
ও তার বড় ছেলে
মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম (১৮) ও ৭
বছর বয়সী ছোট ছেলে;
কবিরেরভিটা গ্রামের মোহাম্মদ রাজু মিয়া (৩৮)
ও তার স্ত্রী রিজিয়া
বেগম (৩৭) এবং তাদের
১০, ৭ ও ৫
বছর বয়সী তিন মেয়ে
এবং হাসান নূরের মেয়ে লিপি আক্তার
(১৯) ও তার ৩
বছর বয়সী মেয়ে; বালাটরি
গ্রামের লাভলু হক (৪৫) ও
তার স্ত্রী নুর নাহার বেগম
(৪৪), বড় মেয়ে লাভলী
খাতুন (২২) এবং ১১
বছর বয়সী ছোট মেয়ে
ও ২ বছর বয়সী
নাতি। এ ছাড়া জয়পুরহাটের
ক্ষেতলাল থানার দারসা গ্রামের মো. আবদুস সামাদ
(২৫)।
চুয়াডাঙ্গার
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস) কনক
কুমার দাস বলেন, ওই
২৬ জন বাংলাদেশিকে বাড়িতে
নিয়ে যেতে তাদের স্বজনদের
কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।
স্বজনেরা না আসা পর্যন্ত
তাদের জীবননগর থানায় রাখা হবে।