রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্র বৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন থেকে চলা তাপদাহের মাঝে রাতের ঝড় বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে রংপুরের মানুষ ও প্রানীকুল। জেলার তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, ও পীরগাছা উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ির পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ঝোড়ো বাতাসে আম, লিচু, ভুট্টা, ধান, পাটসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও বাতাসের বেগের কারণে ঘরবাড়ি ও গাছ-উপড়ে পড়েছে পাশাপাশি উড়ে গেছে ঘড় বাড়ি সহ স্থাপনা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়, শিলা বৃষ্টি হয়। কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝোড়ো হাওয়ায় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ির পাশাপাশি বোরো ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
রংপুরের আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঝড়ের সময় গতিবেগ ছিল ১০-১২ নটিক্যাল মাইল। স্থান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ছিল গতিবেগ। তবে স্থায়ীত্ব কম থাকায় সর্বোচ্চ উঠেই আবার কমে যায় সঙ্গে সঙ্গে রোববার আকাশে কালো মেঘ থাকলেও রোদ উঠেছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, ঝড় বৃষ্টি হলে স্বাভাবিকভাবেই ফসলের ক্ষতি হয়। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নিরুপণ করা যায়নি ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঠিক বন্ধের সময় ঝড় শুরু হয়।শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড় আর বজ্র বৃষ্টি।কালবৈশাখী ঝড়ে নগরীর সহ জেলার অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়। এসময় পুরো জেলা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে। কয়েকদিন ধরে দাবদাহের প্রভাবে হাঁপিয়ে ওঠা রংপুরে ফিরেছে প্রশান্তি। কালবৈশাখী এই ঝড় বৃষ্টি চলতি মৌসুমে এটাই প্রথম।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতের ঝড় বৃষ্টির সময় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২০ মিলিমিটার।বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮ নটিক্যাল মাইল। স্থানভেদে কোথাও কোথাও ১০-১২ নটিক্যাল মাইল ছিলো।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, কালবৈশাখীর ঝড়ে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান হয়েছে নিরুপণ করা হচ্ছে।