গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচি শেষে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বর্জনের ডাক দেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে এসে শেষ হয়। মিছিলে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশে নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, "ইসরায়েল ও আমেরিকার পণ্যগুলো আমাদের বর্জন করতে হবে। বিকল্প ও সমমানের পণ্য ব্যবহার করতে হবে।"
তিনি বলেন, "সারা বিশ্বের মুসলমান আজ ইসরায়েলি নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরও তারই অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জানিয়ে দিতে চাই—আরও বোমা বর্ষণ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি আসবে।"
সাদ্দাম আরও বলেন, "আল-আকসা ও জেরুজালেম মুসলমানদের ঐতিহাসিক সম্পত্তি। আমাদের রক্তের বিনিময়েও আমরা তা ছেড়ে দেব না। গাজায় গত দুই বছরে যে পরিমাণ বোমা বর্ষণ হয়েছে, তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তুলনাকেও হার মানায়। ইতোমধ্যে ৫০ হাজারের বেশি নারী ও শিশু নিহত হয়েছে।"
সমাবেশে তিনি ইসরায়েলকে ‘জঙ্গিগোষ্ঠী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, "তারা ঈদের দিন পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে শত শত মানুষকে শহীদ করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কোনো কোনো জায়গায় কিছু মানুষ এই আন্দোলনের সুযোগে লুটপাটে জড়াচ্ছে। আমরা এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে।"
সভায় ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম বলেন, "১৯৪৮ সাল থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব মোড়লরা এই অবৈধ দখলদারিত্বকে বৈধতা দিয়েছে। তবে আমরা মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ। বাইতুল মুকাদ্দাস স্বাধীন হবেই ইনশাআল্লাহ।"
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারকে আহ্বান জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে করা পূর্ববর্তী সব চুক্তি বাতিল করতে এবং পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ উল্লেখ পুনরায় চালু করতে। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনের পক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়।