বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
বাংলাদেশের প্রধান বিচার পতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর পরিদর্শন করেছেন।এ সময় তিনি গেটের সামনে শহীদ আবু সাঈদের বীরত্ব পূর্ণ সাহস ও দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে শোনেন।
রবিবার (৬এপ্রিল) দুপুরে ক্যাম্পাসে প্রধান বিচারপতির আগমন উপলক্ষে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী। এ সময় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতি বিজড়িত স্থান পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি শহীদ আবু সাঈদের সহপাঠী ও সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলেন। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে শহীদ আবু সাঈদের বীরত্ব পূর্ণ সাহস ও দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে শোনেন। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এসময় বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতির স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে প্রধান বিচাপতিকে জানান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারড. মোঃ হারুন-অর রশিদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্র্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াছ প্রামানিক,প্রক্টর ড. মোঃ ফেরদৌস রহমানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এরপরে প্রধান বিচারপতি পীরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এসময় জেলাপ্রশাসক সহ বিভিন্ন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রংপুরের জজ আদালতসহ বিভিন্ন আদালত পরিদর্শন করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।তিনি বিচারকদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন।রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রধান বিচারপতি জেলা জজ আদালত চত্বরে পৌঁছালে রংপুরের সিনিয়র জেলা জজসহ বিভিন্ন আদালতের বিচারকবৃন্দ ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। পরে প্রধান বিচারপতি জেলা আদালতের সামনে একটি হাড়ি ভাঙা আমের চারা রোপণ করেন। এরপর জেলা জজ আদালতের বিভিন্ন বিচারকের এজলাসসহ রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত এবং মেট্রোপলিটন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পরিদর্শন করেন। সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
আদালত পরিদর্শনের সময় প্রধান বিচারপতি রংপুর মেট্রোপলিটন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকদের সাথে কথা বলেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। প্রধান বিচারপতি ১০ তলা জুডিশিয়াল ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।রংপুরের আদালত চত্বরে বিরাট পুকুর দেখে তা ভালোভাবে সংরক্ষণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।এ সময় রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোঃ নাজির, মহানগর দায়রা জজ মশিয়ার রহমান খান,জজ তারিক হোসেন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আর কিউ এম জুলকার নাইন, চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটসহ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের বিচারক বৃন্দ, জুডিশিয়াল ও মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট এবং ল্যান্ড সার্ভে বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
