লালমনিরহাট বার্তা
জার্মানির ছয় লাখ কোটি টাকার সহায়তা তহবিল ঘোষণা
বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ | ৪ সেপ, ২০২২, ১:৫১ PM
জার্মানির ছয় লাখ কোটি টাকার সহায়তা তহবিল ঘোষণা

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণের উপর থেকে মূল্যস্ফীতির বোঝা কমাতে সাড়ে ছয় হাজার কোটি ইউরো খরচ করবে জার্মানির সরকার৷ শীত মৌসুমে এই অর্থ ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর জার্মানিতে জ্বালানির মূল্য বেড়েছে৷ এতে মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েছে জনগণ৷ আসন্ন শীতে ঘর উষ্ণ রাখতে ব্যবহৃত গ্যাসের খরচ নিয়ে নতুন শঙ্কায় দেশটির মানুষ৷ এমন পরিস্থিতিতে জনগণের উপর থেকে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির চাপ কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটি৷

জার্মান জোট সরকারের শরিকরা রোববার এজন্য ছয় হাজার ৪৭০ কোটি ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ছয় লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সম্মত হয়েছে৷ এটি দেশটির সরকারের এই ধরনের ‘তৃতীয় উদ্ধার তহবিল'৷

এই অর্থে স্বল্প খরচে গণরিবহণে ভ্রমণ এবং জ্বালানি নির্ভর কোম্পানিগুলোকে কর ছাড় দেয়া হবে৷

জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের হিসাবে আগস্টে দেশটির মূল্যস্ফীতি বেড়ে আট শতাংশে পৌঁছেছে৷ জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে৷ পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম জুনে ১২ শতাংশ বৃদ্ধির পর আগস্টে বেড়েছে ১৬ দশমিক ছয় শতাংশ৷ এই পরিস্থিতি থেকে জনগণকে স্বস্তি দিতে গত তিন মাসে গণপরিবহণে মাসে মাত্র নয় ইউরোতে ভ্রমণের সুযোগ করে দেয় সরকার৷ পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ে কর ছাড়ও দেয়া হয়৷যা করা হবে

রোববারের নতুন সিদ্ধান্তের পর চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘গণপরিবহণে স্বল্পমূল্যের টিকেট অব্যাহত রাখতে তার সরকার ১৫০ কোটি ইউরো ভর্তুকি দিবে৷ জ্বালানি সরবরাহ কোম্পানিগুলো যাতে ক্রেতাদের কম খরচে তেল, গ্যাস ও কয়লা সরবরাহ করতে পারে এজন্য কর ছাড় দেয়া হবে৷’’

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলতি বছর আরো দুইটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল সরকার৷ এর একটি ছিল পেট্রোলের উপর করছাড় এবং অন্যটি নয় ইউরোর টিকেটে গোটা জার্মানি ভ্রমণের সুযোগ৷ এই দুই প্যাকেজেরই মেয়াদ শেষ হয়েছে আগস্টে৷ এমন অবস্থায় নতুন করে তৃতীয় প্যাকেজের ঘোষণা আসল সরকারের কাছ থেকে৷

এদিকে রাশিয়া অনির্দিষ্ট কালের জন্য নর্ড স্ট্রিম ওয়ান পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের পরও শীতে জ্বালানি সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না বলে দেশটির মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন শলৎস৷ গ্যাস স্টোরেজগুলো পূর্ণ করা বা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেয়ায় সরকার শীতে ঘাটতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে পেরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷(সূত্রঃ ডয়চে ভেলে)

এই বিভাগের আরও খবর