লালমনিরহাট বার্তা
কালবৈশাখীর তান্ডবে ২০ জন আহত
রংপুর অফিসঃ | ২৭ এপ্রি, ২০২২, ১২:৩৭ PM
কালবৈশাখীর তান্ডবে ২০ জন আহত
রংপুর জেলার ৪ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি । জেলার গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, তারাগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে অন্তত ২০ জন আহত হবার খবর পাওয়াগেছে।গতকাল মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টা থেকে থেকে থেমে থেমে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি রাত প্রায় ১২ টা পর্যন্ত আঘাত হানে। এতে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভা এলাকার টাংরির বাজার, মিলন বাজার, হরিণচড়া আদর্শ বাজার, বাঁশদহসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হারাগাছ ফায়ার সার্ভিস রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝড়ে আহত সাত শিশু সহ আট জনকে স্থানীয় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
সংবাদকর্মী মাহমুদুল হাসান জানান, ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল ২০ থেকে ২৫ মিনিট ছিল। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে ঝড়ের বেগে বড় আলমপুর ইউনিয়নের অনেক ঘরবাড়ি, গাছগাছালি ও উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার। বৃষ্টি হয়েছে সাত মিলিমিটার। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, ঝড়ে গাছপালা উপড়ে গেছে। তবে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। জেলা ত্রাণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাত ৯টা টার দিকে দুই দফায় কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। এতে চার উপজেলার ৩০টি গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়। অনেক আধাপাকা টিনের ঘরবাড়িও বিধস্ত হয়েছে। ঘরচাপা পড়ে ১০ শিশুসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
কাল বৈশাখী ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম।এগুলো হলো—তালপট্টি, হাজিপাড়া, নরসিং হাজিপাড়া, কিশামত পাড়া ও মর্নেয়ার চর। ঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় শত শত পরিবার খোলা আকাশের নিচে মালামাল সরিয়ে নিয়েছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউনিয়নের হাজিপাড়া গ্রামের আমিনা বেওয়া, সালাম ও আবেদা বেগম জানান, তাদের দুটি করে টিনের চালা উড়ে গেছে। তালপট্টি গ্রামের সাহাবুল ও মোনা মিয়া জানান, গ্রামের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। শত শত গাছপালা উপড়ে গেছে।
মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট, জায়গীরহাট,বলদীপুকুর ও মিলনপুর গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। তারাগঞ্জ ও কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া, কুর্শূা,শহীদবাগ টেপা মধুপুর ইউনিয়নে হারাগাছ পৌর সভা এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হেনেছে।রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মকর্তা জানান, ঝড়ে বিভিন্ন স্থানের বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে তার ছিড়ে গেছে। এতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।সংস্কার করে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।
এই বিভাগের আরও খবর