প্রথমত: জ্ঞানাজর্ন করা: আল্লাহ পাক, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ইসলাম ধর্ম সর্ম্পকে সম্যক জ্ঞান লাভ করা অপরিহার্য। কেননা না জেনে আল্লাহর ইবাদত করা যায় না। করলেও বিভ্রান্তিতে পতিত হতে বাধ্য । যেমন বিভ্রান্ত হয়েছিল খৃষ্টানেরা। দ্বিতীয়ত: আমল করা: জ্ঞানার্জন করার পর আমল না করলে সে ইহুদীদের মত।কেননা ইহুদীরা শিক্ষা লাভ করার পর তদানুযায়ী আমল করেনি। শয়তানের ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে মানুষকে জ্ঞান শিক্ষার প্রতি অনুৎসাহিত করে। তার মধ্যে এমন ধারনা সৃষ্টি করে যে,আজ্ঞ থকলে আল্লাহ অজুহাত গ্রহন করবেন। ফলে সে পার পেয়ে যাবে। তার জানা নাই যে, যে সকল বিষয় শিক্ষার্জন করা তার জন্য সম্ভব ছিল তা যদি নাও শিখে তবু তার উপর দলীল কায়েম হয়ে যাবে। এটা হচেছ নূহ (আ:) এর জাতির চরিত্র। নূহ (আ:) তাদেরকে নসীহত করতে গেলে: তারা কানের মধ্যে আংগুল প্রবেশ করাতো এবং নিজেদেরকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিত, (সূরা নূহ: ৭) যাতে তারা কেউ বলতে না পারে তোদেরকে সর্তক করা হয়েছিল। তৃতীয়ত: দাওয়াত বা আহবান: উলামা ও দাঈগণ নবীদের উত্তরাধিকার। তাই নবীদের কাজ আলেম ও জ্ঞানীদের করতে হবে। আল্লাহ তালা বানী ইসরাইলকে লানত করেছেন্ কেননা তারা যে মন্দ ও গর্হিত কাজ করত তা থেকে তারা পরস্পরে নিষেধ করত না; বাস্তবিকই তাদের কাজ ছিল অত্যন্ত গর্হিত।( সূরা মায়েদা: ৭৯) সৎ পথের প্রতি আহবান ও শিক্ষা দান ফরযে কেফায়া। কেউ এ কাজ আজ্ঞাম দিলে যদি যথেষ্ঠ হয় তবে অন্যরা গুনাহ থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু কেউ এ দায়িত্ব পালন না করলে সকলেই গুনাহগার হবে। চতুর্থত: ধৈর্য ধারন করা : ধৈর্য ধারন করতে হবে জ্ঞান শিক্ষার পথে। ধৈর্য ধারন করতে হবে তদানুযায়ী আমল করার ক্ষেত্রে। আর ধৈর্য ধারণ করতে হবে দ্বীনের পথে মানুষকে আহবান করার ক্ষেত্রে।