লালমনিরহাট বার্তা
হাতীবান্ধায় জমি বিক্রি করে দলিল না দেয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টারঃ | ২১ জুল, ২০২২, ১১:৫৮ AM
হাতীবান্ধায় জমি বিক্রি করে দলিল না দেয়ার অভিযোগ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি বিক্রি করে দখল দিলেও দলিল না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহ জালাল নামে এক ব্যক্তি ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আফাজ উদ্দিন আদালতের আশ্রয় নিলে ভুক্তভোগী পরিবারকে দখল দেওয়া জমি আবারও দখল নেয়ার চেষ্টা করছে শাহ জালাল ও তার ভাইরা। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় ৩টি অভিযোগ করলেও আইনি সহায়তা পায়নি এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির। তবে শাহ জালালের দাবি তার বাবা জমি বিক্রি করেনি বন্দক রেখেছিলেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই উপজেলা টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রামের মকিম উদ্দিন ১৯৯৫ সালে ৬৮ শতক জমি বিক্রয় করেন একই এলাকার মৃত চেহের উদ্দিনের পূত্র আফাজ উদ্দিনের কাছে। কিছুদিন পর জমি দলিল দেয়ার আগেই মকিম উদ্দিন মারা যায়। মকিম উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার ৪ ছেলে শাহ জালাল, জাহিদুল, নজরুল ও সফিকুল ইসলাম দলিল দিবেন বলে আশ্বাস্ত করে উক্ত জমি আফাজ উদ্দিনকে দখল বুঝিয়ে দেয়। পরবর্তীতে দলিল না দিয়ে মকিম উদ্দিনের ৪ পূত্র টালবাহানা শুরু করলে আফাজ উদ্দিন বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করেন আফাজ উদ্দিন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মকিম উদ্দিনের ৪ পূত্র শাহ জালাল, জাহিদুল, নজরুল ও সফিকুল ইসলামসহ তাদের লোকজন আফাজ উদ্দিনের দখলে থাকা ওই জমির বিভিন্ন প্রজাতির গাছ গত ১৬ জুলাই কেটে নষ্ট করে ফেলেন। এবং আফাজ উদ্দিনের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করেন। এর আগেও একাধিকবার শাহ জালাল ও তার ভাইরা আফাজ উদ্দিনের পরিবারকে হুমকি দেন ও তার দখলে থাকা জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় আফাজ উদ্দিন বাদি হয়ে স্থানীয় থানায় পরপর ৩ টি অভিযোগ করলেও কোন আইনি সহায়তা পায়নি এমন অভিযোগ তার।
এ বিষয়ে মকিম উদ্দিনের পূত্র শাহ জালাল বলেন, আমার জানা মতে ওই জমি আমার বাবা তার কাছে বন্দক রেখেছিল। আমরা যখন বন্দক ঘুরাতে যাই তখন তারা দাবি করছে ওই জমি তারা আমার বাবার কাছে ক্রয় করেছেন। জমি আমাদের ভাইদের নামে। ওই জমি আমার বাবা বিক্রি করেন কি করে? তবে হুমকি দেয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করেন তিনি।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ আলম বলেন, আমি এ থানায় নতুন যোগদান করেছি। প্রতিটি অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিভাগের আরও খবর