৩টি ঘুমের ঔষধ খাইয়েও অচেতন না হওয়ায় হাত বেঁধে ধর্ষন
স্টাফ রিপোর্টারঃ | ৭ ডিসে, ২০২১, ১:৫৮ PM
জ্বরে আক্রান্ত পুত্রবধুকে এক সঙ্গে ৩টি ঘুমের ঔষধ খাওয়ানোর পরেও অচেতন না হওয়ায় চোখে আঘাত করে আহত করে ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে ধর্ষন করে শশুর। জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তদন্তে নামে পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার (৭ডিসেম্বর) সকালে পাশ^বর্তি মহিষাশর এলাকা থেকে শশুরসহ দুইজনকে আটক করে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো, উপজেলার উত্তর তালুকপলাশী গ্রামের ওই শ্বশুর মকছুদার (৪৮) ও তার এক সহযোগী একই গ্রামের বদিয়ার রহমানের পুত্র মুনছুর আলী (৫২)। মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা। পুলিশ সুপার বলেন, রোববার (৫ডিসেম্বর) এ ঘটনা নিয়ে বাবা ছেলের মধ্যে বিতর্ক হলে নিজ বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নির্যাতিতার স্বামী অটোচালক হাবিবুর রহমান। এসময় চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনা ধাপা চাপার দেয়ার জন্য সহযোগী মুনছুর আলীসহ একই গ্রামের সহযোগি অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ও আলম মিয়া ভিকটিম ওই নারীকে বাড়িতে ধানের গোলার ভিতর আটকে রাখে ভিকটিমের পিতাকে মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। এমনকি বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য পুত্রবধূকে বিয়ে করতেও চেয়েছে ওই শ্বশুর। পরে নির্যাতিত পুত্রবধূকে উদ্ধার করে তার দেয়া জবানবন্দি মূলে ওই ঘটনায় পুত্রবধূর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শ্বশুরকে প্রধান করে ৪জনের নাম উল্লেখ করে আদিতমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। আদিতমারী থানার ওসি মোক্তারুল ইসলাম বলেন, ৩মাস আগে বিয়ে হওয়া নববধূ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বশুর ও তাকে পালাতে সহায়তাকারী তার বড় ভাই মুনছুর আলীকে আটক করা হয়েছে এবং নববধূকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত বাকি দুই আসামিকেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লম্পট ওই শ্বশুর অনুরূপ একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও তিনি জানান।