লালমনিরহাট বার্তা
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে অন লাইন প্লাটফর্মে আলোচনা সভা
স্টাফ রিপোর্টার | ৯ সেপ, ২০২১, ৮:০৯ AM
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে অন লাইন প্লাটফর্মে আলোচনা সভা
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে অন লাইন প্লাটফর্মে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: আবু জাফর। সভাপতিত্ব ও অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ রাশেদুল হক প্রধান। বক্তব্য রাখেন ক্যাপ্টেন (অব:) আজিজুল হক প্রতীক, গেরিলা লিডার ড. এস.এম শফিকুল ইসলাম কানু, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবি। জেলা তথ্য অফিসার মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
উল্লেখ, ১৯৯৬ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক কাজী ফরিদ আহমেদ এর প্রচেষ্টায় গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় লালমনিরহাট জেলার শতভাগ সাক্ষরতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। গণশিক্ষার সার্বিক মূল্যায়নের পর লালমনিরহাট জেলাকে নিরক্ষর মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষনা দেয়া হয়। তৎপ্রেক্ষিতে ইউনেসকো পুরষ্কার ও সনদ প্রদান করেন। পরবর্তীতে দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা প্রশাসকগণ এই সাক্ষরতা অভিযানকে গুরুত্ব না দেয়ায় তা স্তবির হয়ে যায়। বেশী বয়সের পুরুষ ও মহিলারা ক্রমেই তাদের অর্জিত অক্ষর জ্ঞান ও সাক্ষর ভুলে যায়। চর্চা ও অনুশীলন না থাকায় এই অবস্থা দেখা দেয়।
সরকার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আওতায় গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু কালেও নানারুপ কারচুপি জালিয়াতির মাধ্যমে জনগণের ট্যাক্সের কোটি টাকার অপচয় হয়েছে মাত্র। এদিকে ২০১৮-১৯ সালে জেলার হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় লাখ লাখ টাকা ব্যয় হলেও নানারুপ কারচুপি ও জালিয়াতির কারনে তাও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। নাম মাত্র গণশিক্ষা কেন্দ্র চালু , শিক্ষক নিয়োগ ও আনুসঙ্গীক খাতে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এই দু’টি উপজেলা গণশিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ে তদন্ত করলে ভয়াবহ চিত্র উঠে আসবে।
সারা দেশে নিরক্ষর ব্যক্তির সংখ্যা ২৪.৪০ ভাগ। সে মোতাবেক লালমনিরহাট জেলায় সাক্ষরতা ও নিরক্ষর ব্যক্তির সংখ্যা ৪ লাখ ১৪ হাজার ৮শত। দেশকে নিরক্ষর মুক্ত করার জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদ ও মন্দির ভিত্তিক শিশু শিক্ষা ও গণশিক্ষা ও কার্যক্রম চালু করেছে। এ ক্ষেত্রে সরকার অর্থের অপচয় হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
এই বিভাগের আরও খবর