লালমনিরহাট বার্তা
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক, থাকছে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ?
বার্তা ডেস্ক | ১০ নভে, ২০২৩, ৫:২৩ AM
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক, থাকছে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ?

ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘টু প্লাস টু’ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে যোগ দিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গতকাল বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে পৌঁছেছেন। আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভারতের রাজধানীতে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এনিয়ে ইতিমধ্যে দিল্লিতে গেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও।

এই বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক’– অর্থাৎ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে কীভাবে আরও ‘মুক্ত, অবাধ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী’ করে তোলা যায়, সংলাপের একটা বড় অংশে তা নিয়ে আলোচনা হবে।

আর ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত জুন ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বের যে ‘ভবিষ্যৎমুখী রোডম্যাপে’র রূপরেখা দিয়েছেন – এই বৈঠকে দুই দেশের মন্ত্রীরা সেটাকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, সেই পটভূমিতে ভারত-মার্কিন আলোচনায় বাংলাদেশ পরিস্থিতিও ছায়াপাত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেখতে চায় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই। তাই বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন অত্যন্ত আগ্রহ ও উদ্বেগের বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আলোচনায় আসবে কি না, তা নিয়ে দিল্লি বা ওয়াশিংটন কারও পক্ষ থেকেই নির্দিষ্টভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে এই আলোচনায় প্রাসঙ্গিক ‘ইনপুট’ দিতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা ইতিমধ্যেই দিল্লি এসে পৌঁছেছেন বলে বিবিসি বলছে।

দিল্লিতে ভারতের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, আলোচনায় বাংলাদেশ অবশ্যই আসবে, কিন্তু সেটা মেইন কোর্সের অংশ হিসেবে নয়। শুক্রবারের মেনুতে এটাকে সাইড ডিশ বা ডেসার্ট বলা যেতে পারে, যদিও সেটার গুরুত্ব মোটেই কম নয়!

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) বিশেষজ্ঞ রিক রসো মনে করছেন, ভারত-মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ইস্যুগুলোর প্রভাবই কিন্তু বেশি থাকবে।

তিনি মনে করছেন, সার্বিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত-মার্কিন বৈঠকে আলোচনা হলেও ভারতের কাছে ‘ঘরের পাশে’ বাংলাদেশের মতো ইস্যুগুলোই বেশি প্রাধান্য পাবে।

দিল্লিতে কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও থিঙ্কট্যাঙ্ক ওআরএফের সাবেক ফেলো শশাঙ্ক মাট্টু আবার মনে করছেন, বাংলাদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যুতে ভারত কিন্তু আমেরিকার সঙ্গে ‘সংঘাতে’ যেতেও দ্বিধা করছে না।

তার মতে এর কারণটাও খুব সহজ– “আমেরিকার হস্তক্ষেপ এই অঞ্চলে ভারতের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্টনারকে হুমকির মুখে ফেলেছে।” (সুত্র:ইত্তেফাক)

এই বিভাগের আরও খবর