লালমনিরহাট বার্তা
মওলানা ভাসানীর ভারতে প্রবাস জীবন- আলরুহী
বার্তা ডেস্ক | ৩ মে, ২০২৩, ৯:৩৮ AM
মওলানা ভাসানীর ভারতে প্রবাস জীবন- আলরুহী

আসামের প্রাদেশিক মুসলিম নেতা ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মইনুল হক চৌধুরী তাকে স্বাগত জানান। পরে তাকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হলো। কলকাতায় তাকে দারুণ সম্মানের সাথে রাথা হলো। এ প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকীকে তিনি তার ভারতের প্রবাসী জীবনের স্মৃতিচারণে মওলানা ভাসানী বলেন, “ জানো কাদরী, ভাইবা গেলাম যুদ্ধ করমু, নিয়া উঠাইলো রাজ প্রাসাদে। পয়লা ভাবলাম জান বাচাইতে আইসা বন্দী হইলাম নাতো। পরে দেখি যা কই তাই শুনে। কিন্তু পোষাকে আশাকে কেউ না কেউ থাকেই। জিজ্ঞাসা করলে কয় এনাকি আমার নিরাপত্তার জন্য। আমি ভাবলাম হইতেও পারে। কোলকাতায় তো খুব নক্সাল। পুরো যুদ্ধকালীন সময় ভাসানী ভারতের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেরিয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের তিনি প্রধান উপদেষ্টা ও মুক্তিযুদ্ধ সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদএর সভাপতি। ২১ এপ্রিল ১৯৭১ মওলানা ভাসানী জাতিসংঘ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সাহায্যের আবেদন জানান। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র তার ভাষণ বিবৃত প্রচার করতে থাকে। ২২ জানুয়ারি ১৯৭২ মওলানা ভাসানী সিলেট সীমন্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ২৩ জানুঃ ১৯৭২ তাকে টাঙ্গাইলের মুক্তি বাহিনি ও সাধারণ জনতা তাকে স্বাগত জানান। সন্তোষের সেই পোড়াবাড়িতে তিনি বসবাস করতে থাকেন। দেশে ফিরে মওলানা ভাসানী এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,“আওয়ামী লীগ যতদিন শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাবে, ততদিন আমি তাকে সমর্থন করে যাবো (সন্তোষ-১৯৭২)। ১৯৭৪ সালে দেশে খাদ্যঅভাব হলে তিনি খাদ্যের দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেন।(সূত্রঃ অনন্য মওলানা ভাসানী জীবন ও সংগ্রাম)

এই বিভাগের আরও খবর