বক্তারা বলেন, আজিজুর রহমান প্রতারনা করে আমাদের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ব্যাংকে আসছেন না। লিখিত অভিযোগ করেও আমরা কোন সুফল পাইনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অতি দ্রæত আমাদের সমাধান করা না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী পালন করবো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার সিনিয়র অফিসার (মাঠ) আজিজুর রহমানের(০১৭৪০৩৪৯৪১১) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন বলেন, প্রায় ৪০ জন গ্রাহক আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রায় ১ মাস ধরে ব্যাংকে আসছেন না। তাকে বার বার অফিসে আসার নোটিশ দিলেও তিনি অফিসে আসছেন না।
এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক লালমনিরহাট জোনাল ম্যানেজার মাহিদুল ইসলাম বলেন, আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। তিনি অফিস করছেন না এবং আমাদের সাথে যোগাযোগও করছেন না। আমরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
উল্লেখ্য; প্রায় ৪০ জন গ্রাহকের ঋনের টাকা আত্মসাত করেন ব্যাংক কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। গ্রাহকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে অল্প কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন আজিজুর রহমান। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সমঝোতা বৈঠকও হয়। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত না পেয়ে গ্রাহকরা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর থেকে প্রায় এক মাস ধরে ব্যাংকে আসছেন না ওই কর্মকর্তা। এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আজিজুর ইসলামকে বার বার অফিসে আসার নোটিশ দিলেও তিনি অফিস করছেন না।