লালমনিরহাট বার্তা
পুলিশের হেফাজতে মৃত রবিউলে বাড়িতে সমবেদনা জানাতে জাতীয় পার্টীর চেয়ারম্যান জিএম কাদের
শহিদ ইসলাম সুজন: | ১৬ এপ্রি, ২০২২, ১১:৪০ AM
পুলিশের হেফাজতে মৃত রবিউলে বাড়িতে সমবেদনা জানাতে জাতীয় পার্টীর চেয়ারম্যান জিএম কাদের
লালমনিরহাটের সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীর চওড়া গ্রামে পুলিশ হেফাজতে মৃত রবিউল ইসলামের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ১৬ এপ্রিল জাতীয় পার্টীর চেয়ারম্যান , লালমনিরহাট ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের তাদের বাড়িতে জান। তাকে দেখে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং এ হত্যার বিচার দাবী করেন । তিনি মৃত রবিউলের মা, স্ত্রী, ভাই ও আত্মিয় স্বজনদের সাথে কথা বলেন ও শান্তনা এবং পরিবাররে ভরন পোষনে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা প্রদানে ঘোষনা দেন।
তিনি এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরকালে বলেন, পুলিশ হেফাজতে প্রাণহানী কাম্য নয়। এরুপ ঘটনা সারাদেশের জন্যই অশনি সংকেত। আইন শৃংখলা রক্ষা ও জনগনের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশ বাহিনীর কর্তব্য। সেক্ষেত্রে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। তিনি পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সরকারে প্রতি দাবি জানান। পুলিশের বিরুদ্ধে পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করলে জনগন তাতে আস্তা রাখতে পারে না । তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক এলাকার চর্কেরথান নামক স্থানে ১লা বৈশাখ উপলক্ষে বৈশাখী মেলা চলছিল। এসময় সেখানে কিছু জুয়ারী ডাবু (ছয়গুটি) জুয়া খেলা বসালে সেখানকার এক ব্যাক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। পরে সাথে সাথে সেখানে পুলিশ এসে জুয়ারীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শ্রী পোল্লাদ মেকার ও রবিউল ইসলাম নামে দুইজনকে আটক করে। পুলিশ হেফাজতে রবিউল ইসলামের মৃত্যু হয় পোষ্টমর্টাম শেষে মরহুমের লাশ ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় পারিবারিক কবর স্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদর থানার এস আই হালিম কে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে। এব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর