লালমনিরহাট বার্তা
রংপুরের বদরগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
রংপুর অফিসঃ | ১৮ নভে, ২০২১, ২:৩৭ PM
রংপুরের বদরগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
রংপুরের বদরগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনার মামলায় মনোয়ারুল ইসলাম মিঠু (৪১) নামে এক শিক্ষক কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ ১৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর বিচারক মোঃ রোকনুজ্জামান এ আদেশ প্রদান করেন। এসময় আদালতের এজলাসে আসামি ছাত্রী ধর্ষন কারী মনোয়ারুল ইসলাম মিঠু উপস্থিত ছিলেন।
দন্ড প্রাপ্ত আসামি মনোয়ারুল ইসলাম মিঠু জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর সুগার মিল হাই স্কুলের শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ২০২০ সালের ৭ জুন জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ তুলে বদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় স্বাক্ষী ও জেরা শেষে বিচারক আজ এ রায় প্রদান করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৩০ জুন বদরগঞ্জের শ্যামপুর সুগার মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে স্কুলে নিয়ে যান শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম মিঠু (৪০)। ওই সময়ে স্কুলে অন্য কোনো শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না। পরে এই সুযোগে শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক একটি শ্রেণিকক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার সাতদিন পর ওই ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম মিঠুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ আলী ২০সালের ৩১ আগস্ট শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম মিঠুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ১২ নভেম্বর চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন। প্রায় এক বছরে ১৪ জন সাক্ষী এবং ৫ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারক এই এই রায় দেন।এই রায়ে আসামি মনোয়ারুল ইসলাম মিঠুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান ছাড়াও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। অর্থদন্ডের টাকা ধর্ষিতা ছাত্রীকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বিচারক মোঃ রোকনুজ্জামান রায়ের পর্যবেক্ষণে শিক্ষক কর্তৃক এ ধরনের ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয় বলে জানিয়েছে।এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রের কৌশলী (পাবলিক প্রসিকিউটর) জাহাঙ্গীর আলম তুহিন বলেন, করোনাকালীন সময়ে মিথ্যা কথা বলে ওই ছাত্রীকে স্কুলে ডেকে আনা হয়। আসামি মনোয়ারুল ইসলাম পরে ওই ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আমরা আদালতে মামলার সত্যতা প্রমাণ করতে পেরেছি। একই সঙ্গে মামলাটি দ্রæত নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছি।
এই বিভাগের আরও খবর