লালমনিরহাট বার্তা
অনিয়মের তদন্ত অনিয়ম করে নিয়োগ ও সরকারি বিল করানো
স্টাফ রিপোর্টার | ৭ ডিসে, ২০২২, ১২:০২ PM
অনিয়মের তদন্ত অনিয়ম করে নিয়োগ ও সরকারি বিল করানো

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ইসলামী আদর্শ বিদ্যানিকেতন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম করে নিজের স্ত্রীকে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক নিয়োগ এবং সরকারি বিল (এমপিও) করাতে সহযোগীতা করার অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দেওয়া চিঠি অনুযায়ী মঙলবার (৬ ডিসেম্বর) অভিযোগের তদন্ত করেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান। এরআগে অনিয়মের অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে দেন ও উচ্চ আদালতে রিট করেন ওই বিদ্যালয়েরই সহকারী শিক্ষক শাহীনুর ইসলাম।

এ নিয়ে লালমনিরহাট বার্তা অনলাইনে গত ৩০ নভেম্বর একটি খবর প্রকাশিত হয়।

মঙলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় এ বিদ্যালয়ে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে উপপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান- প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অভিযোগকারী শিক্ষকের নিকট ঘটনা শুনেন। পরদিন বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষককে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুরে ডেকেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়।

জানা গেছে, বিধি অনুযায়ী বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে ¯œাতক পাস ও শিক্ষকতা পেশায় ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী রেজিনা আক্তার বানু ২০০৩ সালে ¯œাতকোত্তর অর্জন করেন। পরের বছরের ২০০৪ সালে নিয়োগ পান ও যোগদান করেন। এতে অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। একই বছরে আরও ৬ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেখান প্রধান শিক্ষক। ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি নিম্নমাধ্যমিক ছিল, বিধি মোতাবেক নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদায়ন হয়না।

সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এরাদ আলী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। ২০১৫ সালে দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে আতাউল হক শামীম নিয়োগ পান। আগে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ ছিলনা, নিয়োগও দেওয়া ছিলনা।’

সহকারী প্রধান শিক্ষক রেজিনা আক্তার বানু বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক আনিসুল ইসলাম বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, খাতা বা কিভাবে বিদ্যালয় চালিয়েছেন, নিয়োগ দিয়েছেন উনি ভালো জানেন। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। উচ্চ আদালতে এ বিষয় প্রকিয়াধীন আছে। এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে চাই না।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘অধিদপ্তর তদন্ত দিয়েছে, আমরা খতিয়ে দেখছি। উনাদের সাথে কথা বলে আসছি। কাগজপত্র চেয়েছি। যথানিয়মে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর