লালমনিরহাট বার্তা
লালমনিরহাটের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন মঙ্গল গ্রহে জমি কিনলেন
স্টাফ রিপোর্টারঃ | ৯ সেপ, ২০২১, ১:৪৮ PM
লালমনিরহাটের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন মঙ্গল গ্রহে জমি কিনলেন
মঙ্গলগ্রহে মাত্র ৫০ ডলার দিয়ে জমি কেনার কথা জানালেন বাংলাদেশি এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। পৃথিবীর বাসিন্দারা মঙ্গলগ্রহে জমি কিনতে পারবেন এমন খবর বেশ কিছু দিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। তবে সেই ক্রেতার নাম লাহান উদ্দিন বাড়ি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে তার বাড়ি।তিনি সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহে ১ একর জমি কিনেছেন। গতকাল সেই জমির দলিলও পেয়েছেন হাতে। মঙ্গল গ্রহের ম্যাপেও উল্লেখ রয়েছে কোথায় তার জমি।যে প্রতিষ্ঠান থেকে ইতোপূর্বে মঙ্গল গ্রহে জমি কিনেছেন সাবেক তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচডবিøউ বুশ, জিমি কাটার ও রোলান্ড রিগ্যান সেই(সূত্রঃ ইউএসনিউজ) প্রতিষ্ঠানের মালিক ডেনিস হোপের কাছ থেকে কিনেছেন ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন এক একর জমি। ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন ঢাকায় নিজস্ব হসফডিংকর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত, শাহরুখ খানসহ অনেকেই চাঁদে জমির মালিক হয়েছেন । নতুন খবর হলো চাঁদ ছাপিয়ে মানুষের নজর এখন মঙ্গল গ্রহের দিকে। জমি সেই দলে নাম লেখালেন এক বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন । তিনি সম্প্রতি মঙ্গলে ১ একর জমি কিনেছেন একদম পানির দামে । আজ সেই জমির দলিলও পেয়েছেন হাতে। ম্যাপেও উল্লেক্ষ রয়েছে কোথায় আছে তার জমি ।
ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিনের ইত্তেফাককে জানান, "প্রযুক্তি থেমে নেই,মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে অবতরণ করেছে নাসা ((ঘঅঝঅ)র 'মার্স ২০২০ পার্সিভেরেন্স' (গধৎং ২০২০ চবৎংবাবৎধহপব) রোভার'টি। পৃথিবীতে বসেই মঙ্গলে বাসস্থান গড়ার জন্য কাজ করছে একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের এই কাজেও সাক্ষী হয়ে থাকবে বাংলাদেশ। যেহেতু মঙ্গল গ্রহের গবেষণায় কাজ করেন বিখ্যাত বিজ্ঞানিরা। তাই তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাম বিশ্ব গবেষণায় ছড়ানোই আমার মূল লক্ষ্য।প্রযুক্তি থেমে নেই, মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে অবতরণ করেছে নাসার ‘মার্স ২০২০ পার্সিভেরেন্স’ রোভারটি। পৃথিবীতে বসেই মঙ্গলে বাসস্থান গড়ার জন্য কাজ করছে একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের এ কাজেও সাক্ষী হয়ে থাকবে বাংলাদেশ। মঙ্গল গ্রহের গবেষণায় কাজ করেন বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা, তাই বাংলাদেশের নাম বিশ্ব গবেষণায় ছড়ানোই আমার মূল লক্ষ্য।’তিনি বলেন, ‘আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মতো মঙ্গল গ্রহেও পা রাখবে বাংলাদেশিরা। যদি কোনো দিন বাংলাদেশি বিজ্ঞানিরা মঙ্গল গ্রহে পা রাখতে পারে, তাদের গবেষণার কাজে উৎসর্গ করা হবে এই জমি।’
জানা গেছে, মঙ্গল গ্রহে জমি কেনার তালিকায় রয়েছেন বিশ্বের আরও এক কোটি ৩২ হাজার ২৯৫ জন। আগামী ২০২৩ সালে চার নভোচারীর প্রথম দলটি যাবে মঙ্গলে। ২০২৩ সাল নাগাদ মঙ্গল অভিযানের প্রতিশ্রæতি দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের কোম্পানি ‘মার্স ওয়ান’। সেই লক্ষ্যে টিকিটও বিক্রি শুরু করেছে তারা তবে এই খবরে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত আবেদন করেছে দুই লাখের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে এক লাখ ৫৮ হাজার জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে, আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে প্রথম ৪০ জনকে নির্বাচন করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে চূড়ান্ত ভাবে চারজনকে বাছাই করা হবে।
এই বিভাগের আরও খবর