লালমনিরহাট বার্তা
রংপুরের গ্রমাঞ্চলে মাটি কাঁদা করে রোপণ করছে কৃষকের স্বপ্ন
রংপুর অফিসঃ | ১৮ জানু, ২০২২, ১০:০৭ AM
রংপুরের গ্রমাঞ্চলে মাটি কাঁদা করে রোপণ করছে কৃষকের স্বপ্ন
রংপুরের গ্রমাঞ্চলে অব্যাহত রয়েছে মাঘ মাষের হাড় কাঁপানো শীত।বসে নেই গ্রামাঞ্চলের কৃষকেরা।তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে হাঁটু কাদায় নেমেছে কৃষক-শ্রমিকরা।ক্ষেতে পানি দিয়ে চাষ করা তৈরী কাদায় রোপণ করতে শুরু করেছে উপসি ও হাব্রীড জাতের ধানের চারা। এসব চারা থেকে ফসল নিয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বপ্ন দেখছেন তারা। রংপুর কৃষি বিভাগ বলেছে চলতি বোরো মৌসুমে রংপুর জেলার আট উপজেলায় ১লক্ষ ৩০ হাজার ৯৫০হেক্টও জমিতে উপসি ও উচ্চ ফলন শীল হাব্রীড জাতের ধানের চারা রোপন করা হবে।তবে রোপন কৃত বোরো মৌসুমে-প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ৫লক্ষ ৬১ হাজার৭৭৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধর্য্য হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের মাঠে দেখা যায় কৃষক-শ্রমিকের ব্যস্ততা। এ সময় জমি প্রস্তুতসহ কেউ কেউ তুলছিলেন ইরি-বোরো ধানচারা। আবার কেউ বা রোপণ কাজে কোমর বেঁধে কাদা মাটিতে নেমেছিলেন।
রংপুর কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, শস্য ভান্ডার জেলা হিসেবে পরিচিত রংপুর জেলা। এ জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষি ফসলের ওপর নির্ভরশীল। এসবের মধ্যে তাদের প্রধান ফসল হচ্ছে উপসি ও হাইব্রীট জাতের ধান চাষ। এরই মধ্যে বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে তা রোপণ করতে শুরু করেছে কৃষকরা।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কৃষক হারেস ইসলাম বলেন, গত আমন মৌসুমে ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর দুই একর জমিতে ইরি-বোরো ধান আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে এক বিঘা জমিতে রোপণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কৃষক এনামুল হক জানান, আবহাওয়া অনুকূল ও সার-কীটনাশকের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলে এবার আশানুরূপ ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পাভীন জানান, চারা রোপণের কয়েক দিনের মধ্যে জমিতে পার্চিং বসানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে অধিক ফলনের কলা-কৌশলও শেখানো হচ্ছে চাষিদের।
রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ওবাইদুর রহমান মন্ডল জানান, কৃষকরা যাতে করে ভালো ফলন পান, সে লক্ষ্যে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে।তিনি জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জেলার আটটি উপজেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে ধানচারা রোপণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫ লাখ ৬১হাজার ৭৭৭ মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে কোন প্রকারের প্রকৃতিক দূর্যোগ নাহলে। উৎপাদিত ধান থেকে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যেতে পারে।
এই বিভাগের আরও খবর