লালমনিরহাট বার্তা
হাতীবান্ধায় মানষিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ | ৭ আগ, ২০২২, ১০:৪৩ AM
হাতীবান্ধায় মানষিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক মানষিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী সাবেক সেনাবাহিনীর সদস্য মোকাররম হোসেন শাহিনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ধর্ষক মোকাররম হোসেন শাহিন হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের তমর চৌপতি এলাকার বাসিন্দা। সে সাবেক সেনাবাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে।এদিকে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। শুধু তা-ই নয়, ধর্ষণের বিষয়টি জানার পরও পুলিশের নিরব ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ মন্তব্য দেখা গেছে।
জানা গেছে, পিতৃহারা ১৩-১৪ বছরের মানষিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর হুট করে শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হলে স্থানীয় মহিলারা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তখন মেয়েটি বলেন, শাহিন আরমি তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এনিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই ওই এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। শাহিন আরমি প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন জনকে বিচার দিলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর চাপে বিষয়টি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে ওই আরমি।
এদিকে কিশোরী পারিবারিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় থানায় অভিযোগ দিতে পারছে না বলে জানা গেছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানান, ২-৩ মাস আগে শাহিনের বউ বাড়িতে না থাকায় তাকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে শাহিন। বিষয়টি কাউকে না জানাতে কিশোরীকে হুমকি দেওয়া হয়।
কিশোরীর মা বলেন, অভাবের সংসার। সারাদিন অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতে হয়। ফলে দিনের বেলায় প্রতিবন্ধী মেয়েটি কোথায় যায় না যায় কিছুই জানিনা। এদিকে ৫ আগষ্ট ধর্ষণের বিষয়টি জানার পর রাতে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে তাকে কখন কখন শাহিন আরমি ধর্ষণ করেছে তা সবকিছু খুলে বলে। এর বিচার চেয়ে অনেকের কাছে গেলেও আজও কেউ বিচার করেনি। খবর পেয়ে আমার বাবা গতকাল আমাদের বাড়িতে আসলে এনিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য তাকে হুমকি দেয়া হয়। আমরা অসহায় গরীব বলে আমাদের ইজ্জতের কোন দাম নেই।
এবিষয়ে মোকাররম হোসেন শাহিন ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, এটা সম্পুর্ন ভুয়া। একটি পক্ষ তাকে ফাঁসানোর জন্য মেয়েটি শিখিয়ে দিয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিদ ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনার বিষয়টি আমার জানা নাই। আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহা আলম বলেন, মৌখিকভাবে বিষয়টি জানলেও এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।(সূত্রঃ স্বদেশপ্রতিদিন)
এই বিভাগের আরও খবর