রংপুর বিভাগে করোনায় থেমে থেমে বাড়ছে মৃত্যুর পরিসংখ্যান। টানা তিনদিন মৃত্যুহীন থাকার পর গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে বিভাগে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। বুধবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। কিছুদিন আগেও বিভাগে টানা তিন দিন করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ৪৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়ের ৪, ঠাকুরগাঁওয়ের ৩, গাইবান্ধার ১ জনসহ রংপুর, নীলফামারী ও দিনাজপুরের ২ জন করে রয়েছেন। এসময়ে লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও জেলার দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ৯১ জন সুস্থ হয়েছেন। এর আগের দিন মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) মৃত্যুহীন দিনে বিভাগে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন বিভাগে ৯৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ শতাংশ। করোনা থেকে সুস্থ হন ৫৮ জন।
গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৩৬ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩২৫ জন মারা গেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৩ জন মারা গেছে গাইবান্ধায়। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫১ জন, নীলফামারীতে ৮৮ জন, পঞ্চগড়ে ৮০ জন, কুড়িগ্রামে ৬৮ জন ও লালমনিরহাটে ৬৮ জন মারা গেছেন।
এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৫২ হাজার ৩১৮ জন। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক মোতাহারুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমে আসছে। তবে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে তা উদ্বেগজনক। করোনা প্রতিরোধে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি।
