লালমনিরহাট বার্তা
রংপুরে নেশার টাকার জন্যই বেরোবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে ছিনতাই
রংপুর অফিস | ১১ সেপ, ২০২১, ১:১৪ PM
রংপুরে নেশার টাকার জন্যই বেরোবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে ছিনতাই
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নেশার টাকার জন্যই কুপিয়ে জখম করে ছিনতাইকারীরা। তাদের একমাত্র রুটি-রুজির পথ ছিনতাই করা।গতকাল শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রংপুর মেট্টোপলিটন গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) আবু মারুফ হোসেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় গ্রেফতার মূল হোতা রিফাত হোসেন আলিফের জবানবন্দি অনুযায়ী তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আলিফ ও তার দুই সহযোগী চুরি ছিনতাই করে জীবন চালায়। এরা নিয়মিত নেশা করে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে এরা চুরি ও ছিনতাই করে। ঘটনার দিন তিনজনই ছিনতাই এর জন্য ঘোরাঘুরি করতে থাকে। গভীর রাত হলেও কোন সুযোগ না পাওয়ায় তারা মডার্ণ মোড় থেকে পার্কের মোড়ের দিকে আসতে পরাগ কে একা পেয়ে হামলা করে মোবাইল ছিনতাই করে। আবারও তারা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করলে তাদের মধ্যে একজন ভলে যায়। আলফি ও আরেকজন মিলে পরে তারা বিএডিসি এলাকায় অবস্থান নেয়। তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় ভোরের দিকে তারা শিক্ষক মনিরুজ্জামান মজনুকে একা পেয়ে হামলা করে তার মোবাইল ও দুইহাজার দুইশ টাকা ছিনতাই করে। তার মিনিট দুয়েকের মধ্যে পুলিশের টহল টিম ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে মেডিক্যালে পাঠায়।

তিনি বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করি। গ্রেফতারকৃত আলিফ কোন মোবাইল ব্যবহার করতোনা। একেবারে আদিম যুগের কৌশলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। মোবাইল ব্যবহার না করায় ডিজিটাল কোন সাহায্য নেওয়া যায়নি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে আবু মারুফ হোসেন বলেন, শিক্ষকের কাছ থেকে ছিনতাই করা টাকার মধ্যে আলিফের ভাগের ৭০০ টাকা ও মোবাইল দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও বাকিদের গ্রেফতারে গুরুত্ব দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্ব শুধু ক্যাম্পাসের ভিতরে। বাইরের এলাকায় সার্বক্ষণিক টহল টিম মোতায়েন ছিল। তবুও এর ফাকে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা টহল বাড়িয়েছি। সিটি মেয়রকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়াও ওই এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিএডিসি, বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ারুল আজিম, বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইজার আলী সহ উর্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এই বিভাগের আরও খবর