লালমনিরহাট বার্তা
হুমায়ূন আহমেদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ | ১৯ জুল, ২০২২, ৬:৩৬ AM
হুমায়ূন আহমেদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
জনপ্রিয় কথাশিল্পী, নাট্যনির্মাতা ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (১৯ জুলাই)। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বাংলা সাহিত্যের বিপুল জনপ্রিয় এই সাহিত্যিকের। মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে তার নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশপল্লীতে সমাহিত করা হয়।
এদিকে তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও নেত্রকোনায় দশম প্রয়াণ দিবসে ‘স্মরণ কথন’ আয়োজন করেছে হিমু পাঠক আড্ডা। প্রিয় লেখকের জন্মস্থান নিজ জেলায় হুমায়ূন ভক্তরা লেখকের প্রয়াণের দিন থেকেই স্মরণ করে যাচ্ছে প্রতিবছর। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের ছাদে সকালে সাড়ে ১০টায় কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। পরে ১১টায় লেখকের জীবনী নিয়ে আলোকপাত করবেন বক্তারা। এদিকে তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও নেত্রকোনায় দশম প্রয়াণ দিবসে ‘স্মরণ কথন’ আয়োজন করেছে হিমু পাঠক আড্ডা। প্রিয় লেখকের জন্মস্থান নিজ জেলায় হুমায়ূন ভক্তরা লেখকের প্রয়াণের দিন থেকেই স্মরণ করে যাচ্ছে প্রতিবছর। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের ছাদে সকালে সাড়ে ১০টায় কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। পরে ১১টায় লেখকের জীবনী নিয়ে আলোকপাত করবেন বক্তারা।
এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারো নুহাশপল্লীতে খতমে কুরআন, দোয়া মাহফিলের আয়োজন এবং তার কবরে শ্রদ্ধা জানানো হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানমালার। ২০১১ সালে হুমায়ূন আহমেদের শরীরে ক্যানসার ধরা পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে যান। এরপর সেখানেই তিনি চিকিৎসা নেন। ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হলে ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২৩ জুলাই দেশে ফিরিয়ে আনা হয় হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ। ২৪ জুন তাকে দাফন করা হয় তার গড়ে তোলা গাজীপুরের নুহাশপল্লীর লিচুতলায়।
কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তার সৃষ্টিশীল লেখার মধ্য দিয়ে হাজার বছর ধরে পাঠকের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। তার রচিত নাটক, শিশুসাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, চলচ্চিত্র পরিচালনা পাঠক-দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। উপন্যাস ও নাটকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো বিশেষ করে ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ তরুণ-তরুণীদের কাছে হয়ে ওঠে অনুকরণীয়। জনপ্রিয়তায় তিনি একক ও অনন্য।
বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়শা ফয়েজের ঘর আলো করে ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। রসায়ন শাস্ত্রের শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এই বিভাগের আরও খবর