জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বাড়ছে।। কমছে শিক্ষার গুণগত মান
স্টাফ রিপোর্টারঃ | ২ আগ, ২০২২, ৮:০৭ AM
দেশে প্রতিবছর এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষার হার ক্রমেই কমছে। গত ৫ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অধিকাংশ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী নুন্যতম পাশ মার্ক অর্জন করতে পারছে না। চলতি বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২ লাখ ৮০ হাজার ৭৬ জন অংশ গ্রহণ করেছিল। তন্মধ্যে ৯০.৫৯% পরীক্ষার্থী ১০০ নম্বরের মধ্যে পাশ মার্ক ৪০ নম্বার অর্জন করতে পারেনি। পাশের হার ৯.৪১%। ২০২০-২১ একাডেমিক সেশনে পাশের হার ছিল ১২.৩৬%, ২০১৯-২০ একাডেমিক সেশনে ১৩.২০%, ২০১৮-১৯ একাডেমিক সেশনে ১৩.২৩%, ২০১৭-১৮ একাডেমিক সেশনে ১৪.৩৫% জন পাশ করেছে অর্থাৎ ভর্তি পরিক্ষার ফলাফল ক্রমেই নিচে নামছে। চলতি বছরে ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ইউনিটে ১০.৩৯%, ‘খ’ ইউনিটে ৯.৮৭%, ‘গ’ ইউনিটে ১৪.৩০%, ‘ঘ’ ইউনিটে ৮.৫৪%, ‘চ’ ইউনিটে ৩.৯১% পরীক্ষার্থী উর্ত্তীণ হয়েছে। অপরদিকে প্রতি বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। ২০২০ সালে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। ২০১৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। ২০১৭ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছে ০৭ হাজার ৯৬৯ জন। এদিকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০২১ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন। ২০২০ সালে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৪ জন। ২০১৯ সালে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। ২০১৮ সালে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২১ জন। ২০১৭ সালে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। এখনকার সময়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গুলোতে মানসম্মত লেখাপড়া হচ্ছে না বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল বিশাল ভবন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের উপস্থিতি কম পরিলক্ষিত হয়। সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যুগের পর যুগ ধরে শিক্ষক সংকট চলে আসছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে না। শিক্ষকেরা নিয়মিত ক্লাশ করছেন না। অধিকাংশ শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনী কিংবা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক উন্নয়ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশ একটি মেধা শূন্য জাতিতে তৈরী হতে বেশী বছর অপেক্ষা করতে হবে না।