লালমনিরহাট বার্তা
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান
বিশেষ প্রতিনিধিঃ | ২০ এপ্রি, ২০২২, ১২:২৩ PM
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান
মোবাইলে পরিচয়, এক দুদিন কথা, এরপর, প্রেম-ভালবাসা। অবশেষে, শারীরিক সর্ম্পক। এভাবেই গড়িয়ে যায় বছর দুই।
প্রেমিকা ২ সন্তানের জননী। আছে স্বামী। প্রেমিক অবিবাহিত তরুণ। নতুন চাকুরী পেয়েছে বিজিবিতে। তাদের প্রেম এতটাই গড়িয়ে যায় যে, বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিতে ২০২১ সালে প্রেমিক নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা লিখে দেন। অঙ্গীকারনামা পাওয়ার একমাসের মাথায় প্রেমিকা তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেন।
এরপর প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। এতে প্রেমিক টালবাহানা শুরু করে। প্রেমিকা যখন বুঝতে পারে, সে প্রতারিত হচ্ছে। তখনই প্রেমিকা সুদূর টাঙ্গাইল থেকে চলে আসে প্রেমিকের বাড়ি লালমনিরহাটে ।
খোঁজে খোঁজে হাজির হয় জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের মাধবপাড়া গ্রামে মিজানুরের বাড়িতে। মিজানুর রহমান (২৪) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য। তাঁর বাবা শাহিন আলম একজন কৃষক। প্রেমিকা অনামিকার (ছদ্দনাম) বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায়।
ওই প্রেমিকা গত ১৬ এপ্রিল বিকাল ৩টার দিকে মিজানের বাড়িতে অবস্থান নেয়। তবে, মিজানের পরিবারের লোকজন তাকে মেনে নিতে কিছুতেই রাজি নয়। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলে নানা রকম কুট- কৌশল।
এ ঘটনায় প্রেমিকা জানান, ‘ দীর্ঘ দুই বছর ধরে মিজানুর রহমানের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। মিজানুর আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প গত ১৯/0৯/২০২১ তারিখে অঙ্গীকারনামা লিখে দেয়। প্রেমিকা আরো বলেন, আমার দুটি সন্তান রয়েছে এবং স্বামীও ছিল। মিজানুরের কথামতো আমি আগের স্বামীকে গত ২০/১০/২০২১ তারিখে ডিভোর্স দিয়েছি। আজ আমি বাধ্য হয়ে আমার সবকিছু ত্যাগ করে তার বাড়িতে চলে এসেছি। এখন তার বাড়ি থেকে চলে যাওয়া মানে মৃত্যু ছাড়া আমার আর কোন পথ নেই।’
পরের দিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহিলাকে তার বাড়ি টাঙ্গাইল ফেরৎ পাঠায়। চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব পৌছে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘটনার এখানেই শেষ নয়। গত ১৮/০৪/২২ তারিখ প্রেমিক অনামিকা আবারো টাঙ্গাইল থেকে ফিরে আসে মিজানুরের বাড়িতে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি এটিএম গোলাম রসুল জানান, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় মহিলা থানায় আসে। তাকে জিজ্ঞাবাদ করি এবং অভিযোগ দিতে বলি। তিনি কোনরুপ অভিযোগ না দিয়ে আবার ছেলের বাড়িতে চলে যায়। শুনেছি পারিবারিক ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।’
মিজান-অনামিকার ফেইসবুকে-মোবাইলে গড়ে উঠা প্রেমের উপাখ্যান শেষ হয়নি। দীর্ঘ ৫দিন ধরে চলছে উভয় পরিবারের মধ্যে চলছে নানান কুট-কৌশল। চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় লোকজন সবাই ব্যার্থ। সচেতনমহল প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
এই বিভাগের আরও খবর