লালমনিরহাট বার্তা
স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি ও ডা. সাবরিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বার্তা অনলাইন ডেস্ক | ১০ জুল, ২০২৪, ২:২৭ PM
স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি ও ডা. সাবরিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জন্মতারিখ পরিবর্তন করে দুটি এনআইডি বানিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, আর্থিক প্রতারণাসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সাবেক রেজিস্ট্রার ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেন, তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১০ জুলাই) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকার সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলেন—জেকেজি হেলথ কেয়ারের স্টাফ আ স ম সাঈদ চৌধুরী (৪৭), হুমায়ুন কবির ওরফে হিমু (৩৪), তানজিনা পাটোয়ারী (২৫) এবং জেকেজি হেলথ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেসা রিমা।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসৎ উদ্দেশ্য এবং কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে জেকেজি হেলথ কেয়ার নামক একটি লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অন্যদের যোগসাজশে অভিজ্ঞতাহীন, নিবন্ধনবিহীন, ট্রেড লাইসেন্সবিহীন আরিফুল হক চৌধুরীর ওভাল গ্রুপের নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারকে কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমতি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে বুথ থেকে স্যাম্পল কালেকশন না করে ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেন ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর নির্দেশে তার অফিসের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টেস্ট ফি হিসেবে প্রতিটি টেস্টের জন্য ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। তবে, স্যাম্পল যথাযথভাবে পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট (আনুমানিক ১৫ হাজার ৪৬০টি) প্রস্তুত করে অর্থ আত্মসাৎ করেন।

সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি এবং লকডাউন চলাকালীন ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন সময়ে ওভাল গ্রুপ এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ভেলবিল সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৭ জমা হয়েছে। যা করোনা টেস্টের টাকা মর্মে প্রতিয়মান হয়। এছাড়া, ডা. সাবরিনা প্রতারণা ও জালিয়াতির উদ্দেশ্যে নিজের জন্মতারিখ পরিবর্তন করে দুটো জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে তা দিয়ে দুটো ভিন্ন টিআইএন নম্বর খোলেন এবং জন্মসাল ১৯৭৮-কে ১৯৮৩ বানিয়ে চাকরির মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারি চাকরির সুযোগ-সুবিধা অবৈধভাবে গ্রহণের অপচেষ্টা করেছেন। আসামিরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে কর্মরত থেকে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতি ও প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভুয়া রিপোর্ট (আনুমানিক ১৫ হাজার ৪৬০টি) প্রস্তুত করে করোনার বিস্তার ঘটিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে দণ্ডবিধির ১৬৮/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

এই বিভাগের আরও খবর