লালমনিরহাট বার্তা
চাকুরী দেয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া ওয়ারেন্টভুক্ত এক প্রতারক র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তাতার
রংপুর অফিস | ১ জানু, ২০২২, ৭:১৮ AM
চাকুরী দেয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া ওয়ারেন্টভুক্ত এক প্রতারক র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তাতার
চাকুরী দেয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারির এক বছর পর তা তামিল করেছে রংপুর র‌্যাব ১৩। চাকরির দেয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে বাহিনীটি।কুড়িগ্রাম থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।৫৬ বছর বয়সী ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম রিজওয়ানুল ইসলাম। তার বাড়ি বগুড়া সদরের উপশহরে।র‌্যাব জানায়,২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত চারটি মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। এসব মামলায় গত বছর ওয়ারেন্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকে পুলিশ তাকে খুঁজছিল। অথচ ২০১৫ সালের পর থেকে তিনি চাকরি সূত্রে কুড়িগ্রামে ব্যাংকের একটি শাখায় অফিসার পদে কর্মরত।
রংপুর র‌্যাব-১৩-অধিনায়কের পক্ষে মাহমুদ বশির আহমেদফ্লাইট লেঃসহকারী পরিচালক (মিডিয়া)র‌্যাব-১৩, সিপিএসসি, রংপুর এক প্রেসবার্তায় জানান, বগুড়া সদর থানা অফিসার ইনচার্জ কর্তৃক অধিযাচন পত্র প্রাপ্তির ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম (৫৬), একজন সরকারী ব্যাংক কর্মকর্তা বহুদিন যাবত সাধারণ চাকুরী প্রত্যাশীদের ব্যাংকে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পলাতক রয়েছে। উক্ত সংবাদের ভিক্তিতে সিপিএসসি, র‌্যাব-১৩, রংপুর, অধিযাচন পত্রটি আমলে নিয়ে সত্যতা অনুসন্ধানের জন্য তাৎক্ষণিক ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ওয়ারেন্ট ভুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত অধিযাচন পত্রটি প্রাথমিকভাবে সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় র‌্যাব-১৩, সিপিএসসি, রংপুর ক্যাম্প এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিঃ তারিখে র‌্যাব-১৩, সিপিএসসি, রংপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গতকাল বুধবার সন্ধায় কুড়িগ্রাম জেলার সদর থানাধীন জনতা ব্যাংক লিমিটেড, কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে সিআর মামলার ৪ টি ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম (৫৬), পিতা- মোহাম্মদ আলী জোয়ারদার’কে গ্রেফতার করে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আটককৃত প্রতারক বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে প্রতারনার কথা স¦ীকার করে। তার সাথে জড়িত অন্যান্য প্রতারককে আইনের আওতায় আনার জন্য র‌্যাবের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।আটককৃত প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বগুড়া সদর থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর