লালমনিরহাট বার্তা
ক্ষোভের মুখে দিদি নাম্বার ওয়ান!
বার্তা ডেস্কঃ | ২০ জুন, ২০২২, ৫:৪২ AM
ক্ষোভের মুখে দিদি নাম্বার ওয়ান!
দিদি নাম্বার ওয়ান। জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো গুলোর মধ্যে একটা। সেখানেই প্রতি নিয়ত উঠে আসে গ্রাম বাংলা তথা শহরতলির দিদিদের জীবন সংগ্রামের কাহিনী। তবে তার সত্যতা নিয়েও নানান সময় হয়েছে বিতর্ক। বহুবার অভিযোগ উঠেছে টিআরপি বাড়ানোর জন্য প্রতিযোগিরা মিথ্যে কথা বলে ‘সিমপ্যাথি’ পেতে চান। সম্প্রতি ফের একই কারণের জেরে জনরোষের মুখে পড়তে হল দিদি নাম্বার ওয়ানকে।

কিছুদিন আগেই এই মঞ্চে এসেছিলেন মামন বিশ্বাস। খুব ছোটবেলাতেই বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। শশুর বাড়ির অত্যাচার, স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের জেরে দুই সন্তান নিয়ে খুব কম বয়সেই সংসার ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। ছেলে মেয়েদের মানুষ করার জন্য ছিল অর্থের প্রয়োজন। আর তার জেরেই ডিম্বাণু ডোনারের কাজ বেছে নেন মামন। হাজার হাজার মহিলা যাঁরা মা হতে পারেন না, তাঁদের মা হতে সাহায্য করেন তিনি। এক আইভিএফ সেন্টারে ডিম্বাণু দান করেন মামন। মূলত যে সকল মহিলার সন্তান ধারণে সমস্যা তাঁদের ডিম্বাণু দান করেন মামন।

এদিন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চেই এই ডিম্বাণু দানের প্রক্রিয়া জনসমক্ষ্যে এনে মামন জানান, আইভিএফ সেন্টারে ইনজেকশনের মাধ্যমে ডোনারদের ডিম্বাশয় বড় করে তাদের থেকে ডিম্বাণু নিয়ে সেটির নিষেক ঘটিয়ে ভ্রূণকে অপর মহিলার (যিনি মা হবেন) গর্ভেই স্থাপন করা হয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়া হয় সম্পূর্ণ গোপনে। যিনি মা এই ভ্রূণ গ্রহণ করছেন তিনি জানতে পারেন না তাঁর শরীরে কোন মহিলার ডিম্বাণু স্থাপন করা হচ্ছে। কারণ গোটা প্রক্রিয়াটি একটি গোপন বিষয়। আর সেই গোপন প্রক্রিয়া এবং মামনের নিজের পরিচয় টেলিভিশনের পর্দায় ফাঁস করাতেই ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা।

এদিন জি বাংলার অফিসিয়াল পেজ থেকে শেয়ার করা ভিডিওর কমেন্ট বক্সে উপচে পড়েছে নেটনাগরিকদের ক্ষোভ। অনেকেই মামনকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘মহান সাজবার জন্য টেলিভিশনের পর্দায় এমন গোপনীয় কথা কেউ বলে না।’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘আইভিএফ পদ্ধতিতে সাহায্য করেন যাঁরা, সেই ডোনারদের পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকে, এটা প্রকাশ্যে আনা ঠিক নয়।’ একই সাথে অনেকেই জি বাংলার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই ভিডিয়ো মুছে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
এই বিভাগের আরও খবর