লালমনিরহাট বার্তা
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভুমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য: বিশ্লেষক প্রতিক্রিয়া
অনলাইন বার্তা ডেস্ক | ২৬ আগ, ২০২১, ৩:৩৬ PM
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভুমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য: বিশ্লেষক প্রতিক্রিয়া
চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর এবং মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভুমিকা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলিগের সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, জনগণের চাপে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপাঠ করতে বাধ্য হন।খবর পার্স টুডে’র

তবে,চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর এবং ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভুমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে বাম রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ডাক্তার ফায়েজুল হাকিম রেডিও তেহরানকে বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধে অন্য সকলের অবদান এবং ভূমিকা অস্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধের সকল কৃতিত্ব আওয়ামীলীগের -এটা প্রতিষ্ঠিত করতেই এরকম বিতর্কিত মন্তব্য করা হচ্ছে। তাছাড়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তো রয়েছেই।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর নেই। সেখানে জিয়া নেই। তারপরও দলটির নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করে ।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তার কোনো প্রমাণ নেই। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বে কখনও বিশ্বাস করতেন না। জিয়াউর রহমান সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্রখালাস করতে গিয়েছিল। জনগণ তাকে ঘেরাও করে আটকও করে। তাকে ধরে এনে স্বাধীনতার ঘোষণাপাঠ করানো হয়। প্রথমদিকে অনেক আপত্তি ছিল তার। জনগণের চাপে পাঠ করেছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যর্থ হোক, স্বাধীনতার চেতনা মুছে যাক, কিন্তু সেটা আমরা করতে দেব না। জাতির পিতার নাম তারা এখন আর মুছতে পারবে না। যে ইতিহাস তারা মুছতে চেয়েছিল, তারা আর পারবে না।

এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতারা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততার দায়ে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন। গতকাল বুধবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর বেগম নুরজাহান মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুল মাঠে শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তারা এ দাবি জানান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নান।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচিসহ মহানগর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে যারা কলকাটি নেড়েছে তাদের মুখোশ এখনো উন্মোচিত হয়নি বলে উল্লেখ করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালে ৩ নভেম্বর জেলখানায় চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ কে করে দিয়েছিল? কে হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল? এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত। এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে তাকে মরণোত্তর বিচার হতেই হবে। মরণোত্তর বিচার করতেই হবে। এর দাবি আমরা জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত। তাই জিয়াউর রহমানের মরনোত্তর বিচার করতেই হবে।
এই বিভাগের আরও খবর