লালমনিরহাট বার্তা
বৃষ্টির জন্য হাজারো মানুষের কান্না: আদিতমারীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
রেজাউল করিম রাজ্জাক, আদিতমারী | ২৪ এপ্রি, ২০২৪, ৯:৫৩ AM
বৃষ্টির জন্য হাজারো মানুষের কান্না: আদিতমারীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়

লালমনিরহাট জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে অসহনীয় রোদ আর গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন। অন্যদিকে ফসল-ফসলাদি পুড়ে ছাঁই হয়ে যাচ্ছে।

সেই গরমের পরিত্রানের জন্য মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে ও রহমতের বৃষ্টির আশায় বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলা কমলাবাড়ী ইউনায়নের কিসামত চরিতাবাড়ী জমিয়ত তালিমুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরার শিক্ষক,ছাত্র ও ওলামা কেরামের আয়োজনে, মাদরাসা মাঠে খোলা আকাশের নিচে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করেছেন মাদরাসার শিক্ষক,ছাত্র,ওলামা কেরাম ও এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিসহ সব শ্রেণি-পেশার কমপক্ষে প্রায় দুই হাজার মুসল্লি এ নামাজ অংশ নেন।

নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশ জমিয়ত তালিমুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার মহাপরিচাল মাওলানা আলহাজ্ব জয়নুল আবেদিন।

নামাজ শেষে বিশেষ খুৎবা পাঠ করা হয় পরে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে রহমতের বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অশ্রুসিক্র কান্নায় পাপের জন্য ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির চেয়ে দোয়া করছেন তারা।

নামাজে আসা মুসল্লি মোস্তফা কামাল ও তোতা মিয়া বলেন, সারা দেশের মতো আমাদের জেলায় অসহনীয় গরম পড়েছে। অনেকদিন ধরেই বৃষ্টি হওয়ার কথা, কিন্তু হচ্ছে না। তীব্র গরমে শুধু মানুষ না পশুপাখিরাও কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের ফসল-ফসলাদি পুড়ে ছাঁই হয়ে যাচ্ছে।সেচ দিয়েও কাজ হচ্ছেন। কেন বৃষ্টি হচ্ছে এটা আমাদের পাপের কারন। তাই আল্লাহর কাছে ধর্মপ্রান মুসল্লী ও সকল ওলামা কেরাম সবাই মিলে দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে দোয়া করি সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিয়ে রহমতের বৃষ্টি দান করুক।

তালুক খুটামারা মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান বলেন,খরতাপের জন্য জনগন আজ অতিষ্ট। সবই আমাদের পাপের কারন আল্লাহতালা আজাব দিয়েছে। আজকে এই দোয়ার ওসিলাই আল্লাহতালা মাফ করে দিয়ে এই অশান্ত এলাকা যেন শান্ত করে দেয় এজন্য আমরা নামাজ পড়ে দোয়া করেছি তিনি কবুল করে।

নামাজের খতিব (ইমাম) বাংলাদেশ জমিয়ত তালিমুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরার মহাপরিচালক মাওলানা আলহাজ্ব জয়নুল আবেদিন বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে কষ্টে আছে গাছপালাসহ প্রাণীকুল সে কারণে বৃষ্ট হচ্ছে না। মানুষের জনজীবন যখন খুবই কষ্ট হচ্ছিল কৃষকের ফসল-ফসলাদি ক্ষতি হচ্ছে এজন্য রাসুলপাক (সঃ) আমলে যখন এ রকম হত সাহাবী কেরামদের নিয়ে তিনি মাঠে চলে যেতেন এবং দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। ঠিক রাসুলপাক (সঃ) এর হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহকে যেহেতু বাংলাদেশে অনাবৃষ্টির কারনে মানুষের কষ্ট হচ্ছে,ফসল-ফসলাদি ক্ষতি হচ্ছে এই দিক বিবেচনা করে আমরা অত্র এলাকার সমস্ত মুসল্লী, শিক্ষক,ছাত্র ও ওলামা কেরামদেরকে নিয়ে আজকে রাসুলপাক (সঃ) এর সুন্নাহ তরিকা অনুযায়ী দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে এ দোয়া করেছি তিনি যেন রহমতের বৃষ্টি নাযিল দান করুক এবং আল্লাহতালা শান্ত পৃথিবীতে সবাইকে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করার তওফিক দান করুক আমিন।

এই বিভাগের আরও খবর