লালমনিরহাট জেলাকে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার, দৃঢ় প্রত্যয় মনে নিয়ে লালমনিরহাট বার্তার পথ চলা শুরু হয়। তার পর দেখতে দেখতে অনেক গুলো বছর অতিক্রাম হয়ে গেল। সেদিনের শিশু বার্তা এখন যৌবনদীপ্ত। নানান চড়াই উৎড়াইয়ের কন্ঠাকাকীর্ন পথ অতিক্রম করে সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা গেরিলা লিডার এস এম শফিকুল ইসলাম কানু পত্রিকা প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি শুধু সংবাদ প্রচারে পত্রিকাকে সীমাবদ্ধ না রেখে গবেষনা মূলক রচনা, বিশ্লেষন ধর্মী লেখা, রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিষয় গুলো তুলে ধরেন তার পত্রিকায়। মাঝে মাঝে সাহিত্য পাতা ক্রোড়পত্র হিসেবে ছাপিয়ে তাতে স্থানীয় নবীন প্রবীন লেখকদের গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা, স্মৃতি কাহিনী ইত্যাদিও ছাপিয়ে স্থানীয় লেখকদের উৎসাহ দিয়েছেন।
লালমনির হাট বার্তার পথে চলার লগ্ন থেকে আমি এ পত্রিকার পথে জড়িত আছি। যতদুর মনে পরে প্রথম সংখ্যায় স্থানীয় সংষ্কার ও বিশ্বাস নিয়ে একটা লেখা ছাপানো হয়েছিল পত্রিকায় তারপর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছি। সম্পাদক গুরুত্ব সহকারে লেখাগুলো ছেপেছেন ও আমাকে কৃতার্থ করেছেন।
লালমনিরহাট জেলার পথ চলা শুরু হয় ১৯৮৪ সালে। আর পত্রিকার প্রথম প্রকাশ আরম্ভ হয় ১৯৯০ সালে সে মতে পত্রিকার বয়স এখন ৩২ বছর। দেশের উন্নয়নের ধারায় লালমনিরহাট এখন উন্নয়নের পথে অগ্রসরমান একটি জেলা। ইতিমধ্যে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। জেলাকে কেন্দ্র করে কিন্তু একটা বিষয় ১৯৯০ সালে পত্রিকাটি যেমন ছিল এখনো তেমনটাই আছে। সেসময় লালমনিরহাট থেকে পত্রিকা প্রকাশের যেমন সুযোগ সুবিধা ছিলো না এখনো তেমনি আছে। তাই লালমনিরহাট বার্তাসহ যেগুলো পত্রিকা প্রকাশিত হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো প্রকাশের জন্য অধিক অর্থ বিনিয়োগ করেও সীমাহীন সমস্যা মোকাবিলা করে অন্য শহরের প্রেসের দারস্ত হতে হয়। বার্তা পত্রিকার সম্পাদককে বছরের পর বছর এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করে পত্রিকা প্রকাশ অব্যাহত রাখতে হয়। প্রত্রিকা প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি যেগুলো বাধা বিপত্তির সম্মুখিন হয়েছেন। তাতে মানসিকভাবে তার ভেঙ্গে পড়ার কথা ছিল কিন্তু একজন সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা লিডার হওয়ায় তিনি সব বাধা কাটিয়ে পত্রিকাকে টিকিয়ে রেখেছেন।
সব শেষে কামনা লালমনিরহাট বার্তা যে প্রত্যয় ও স্বপ্ন নিয়ে পথ চলা আরম্ভ করে ছিল, তার স্বপ্ন দ্রষ্টা সম্পাদক আগামী দিনে পত্রিকা খানিকে দৈনিকে রূপান্তরিত করে তার স্বপ্ন পূরণ করবেন। সম্পাদক এস এম শফিকুল ইসলাম কানুকে পত্রিকার শুভ দিনে অভিনন্দন রইলো। লেখক, অধ্যাপক ও সাহিত্য গবেষক।