লালমনিরহাট বার্তা
রংপুরে নিম্নমানের ইউরিয়া সার সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
রংপুর অফিসঃ | ২৯ আগ, ২০২১, ১০:৫৮ AM
রংপুরে নিম্নমানের ইউরিয়া সার সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
রংপুরে নিম্নমানের ইউরিয়া সার সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষকফ্রন্ট। সংগঠনটির অভিযোগ, বর্তমানে ভেজাল সার ও কীটনাশকের সরবরাহ বাড়াতে কৃষকেরা প্রতারিত ও ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। একারনে ফসলের উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। নিম্নমানের সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ফসলের ক্ষতি হলে কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আজ রোববার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রংপুর নগরীর কাচারি বাজার চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ অভিযোগ তোলা হয়। সকালে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে বের হওয়া একটি বিক্ষোভ মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশে গিয়ে মিলিত হয়। পরে তারা দাবি আদায়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।
সংগঠনটির নেতারা অবিলম্বে ভেজাল সার ও কীটনাশকের কারণে ফসলের ক্ষতি হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার দাবি জানান। একই সঙ্গে সয়ারিন তেল, চিনি, চাল, ডাল ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো, ক্ষেতমজুদদের সারাবছর কাজের ব্যবস্থা,গ্রাম ও শহরে শ্রমজীবীদের জন্য আর্মিরেটে রেশনিং পদ্ধতি চালুর দাবি তোলেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা বাসদ আহ্বায়ক আব্দুল কুদ্দুস, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষকফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক অমল সরকার, কৃষকনেতা গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির নেতা আব্দুল জলিল, আতিয়ার রহমান, মনোয়ার হোসেন।এতে কৃষকফ্রন্টের জেলা কমিটির সভাপতি মমিনুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দীর্ঘদিন থেকে জমাট বাধা ইউরিয়া সার ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি সার গুদামে দীর্ঘদিনের জমাটবাধা সার নতুন ব্যাগে রিপ্যাকেটিং করে ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকার দলীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ডিলার ছাড়া অন্য ডিলারদের কাছ থেকে বাফার দায়িত প্রাপ্তরা উৎকোচও আদায় করে আসছে। এসব অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে জানার পরও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নীরব। তারা অবিলম্বে নিম্নমানের ভেজাল সার সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধের দাবি তোলেন বামধারার এ সংগঠনটি। একই সাথে ভেজাল বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে ফসলের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও মাঠপর্যায়ে সরকারি তদারকি নিশ্চিতের জোর দাবি জানানো হয়।
বক্তারা আরও বলেন, সরকার নিজেদের কৃষি ও কৃষকবান্ধব দাবি করলেও বাস্তবে তা উল্টো। গ্রাম-শহরে শ্রমজীবীদের কাজ নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। বর্তমানে তেল, চিনি, চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। দিন দিন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ক্ষতি গ্রস্থ ক্ষেতমজুরদের সারাবছর কাজ, শ্রমজীবীদের আর্মিরেটে রেশন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে বা ইউনিয়নে টিসিবি ও ওএমএস সুবিধা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর