আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হলেও তাঁর ক্রিকেট সত্তাকে কেউ অস্বীকার করে না। ২০০৬ সাল থেকে দেশকে সার্ভিস দিচ্ছেন তিনি। এখনও তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন অলরাউন্ডার। তাঁর পারফরম্যান্স এবং অভিজ্ঞতা বিবেচনা করেই পাকিস্তান সফরে দুই টেস্টের সিরিজে নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকেও এএফপিকে একই কথা বলা হয়েছে। তারকা কোটায় আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এবং তাঁর দলের পতনের পরও তাই ক্রিকেটে টিকে থাকছেন সাকিব। খুব খারাপ পারফরম্যান্স না হলে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার শঙ্কা নেই বলে মনে করেন ক্রীড়া সংগঠকরা।
সাকিবও প্রস্তুত হচ্ছেন দেশের জন্য উড়াজ করে খেলতে। কানাডার গ্লোবাল টি২০ লিগ শেষ করে ১৩ আগস্ট গভীর রাতে পাকিস্তান গিয়ে পৌঁছান তিনি। লাহোরের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে গতকাল অনুশীলনও করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
গত কয়েক বছর হলো বিরতি দিয়ে টেস্ট খেলেন সাকিব। টেস্ট ম্যাচ কম খেলার পেছনে কারণও আছে। টি২০ বিশ্বকাপের পর এক আড্ডায় বেছে বেছে খেলার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি, ‘দেখেন, ভারত টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অনেক ক্রিকেটার অবসর নিলেও দলে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। কারণ, তারা প্রতিটি পজিশনের জন্য বিকল্প তৈরি করে রেখেছে। আমি চেয়েছিলাম অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে বিকল্পদের সুযোগ দেওয়া হোক। সেটা করা হলে শক্তিশালী রিজার্ভ বেঞ্চ থাকত। কিন্তু বোর্ড সব সময় চেয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও আমাদের খেলাতে। তবে গুরুত্বপূর্ণ সব সিরিজ আমি খেলব। ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ম্যাচ বাদ দিতে চাই না। চেষ্টা করব ভালো খেলে দলের জন্য অবদান রাখতে।’
পাকিস্তান সিরিজে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। এজন্য নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে চান লাল বলে। তাই লাহোরে পৌঁছে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার লড়াই শুরু করেছেন। গতকাল ব্যাটিং সেশন করেছেন তিনি। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে পরামর্শ করতে দেখা গেছে তাঁকে।