লালমনিরহাট বার্তা
লালমনিরহাট ৩ আসন: সুখ-দুঃখগাথা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভূমিকা
সূফী মোহাম্মদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক | ২৪ মে, ২০২৩, ৬:৪৮ AM
লালমনিরহাট ৩ আসন: সুখ-দুঃখগাথা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভূমিকা

◆ একজন জননেতা অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান জনগণের 'মতিয়ার ভাই' হতে পেরেছেন;

◆ একজন জননেতা আসাদুল হাবিব দুলু জনগণের 'হামার দুলু ভাই' হতে পেরেছেন। কিন্তু একজন জননেতা ‘গোলাম মোহাম্মদ কাদের’ কাদের ভাই হতে পেরেছেন? না, 'স্যার'ই রয়ে গেলেন।

◆ একজন জননেতা কামরুজ্জামান সুজন 'সুজন ভাই' হয়ে উঠছেন;

◆ একজন জননেতা রেজাউল করিম স্বপন 'স্বপন ভাই' হয়ে উঠছেন।

আর যদি ঐতিহাসিক উদাহরণ টানি, তবে

বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও সবার প্রিয় 'মুজিব ভাই' হয়েই ছিলেন আমৃত্যু।

শ্রদ্ধেয়/প্রিয় ভাই সকল,

আমার ধ্যানে-জ্ঞানে, শয়নে-স্বপনে, নিঃশ্বাসে-বিশ্বাসে লালমনিরহাটের সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং এর উন্নয়ন। আমার জেলার সংস্কৃতি আমার অহংকার। আমি গর্বিত আমার জেলা নিয়ে, আমি আশাবাদী! অপার সম্ভাবনাময় প্রিয় লালমনিরহাট। আর এ জেলার সার্বিক উন্নয়ন আপনাদেরই ক'জনার হাতে, একথা কে না জানে!

শ্রদ্ধেয়/প্রিয় ভাই সকল, জনাব জিএম কাদের স্যারের কাছে সবকিছু আশা করি না! কারণ তিনি আপাতত ব্যস্ত আছেন কোটি কোটি টাকা খরচ করে মসজিদ, মন্দির, গির্জার উন্নয়নে। তিনি ব্যস্ত থাকুন শ্মশান, কবরস্থানকে আলোকিত করতে।

ধর্মীয় অনুভূতিকে পুজিঁ করে ভোট বাণিজ্যে কে সেরা সওদাগর আপাতত সেকথাও আমার জানার প্রয়োজন নেই।

আমার জানার প্রয়োজন- আপনাদের কারা কারা লালমনিরহাটে সংস্কৃতি চর্চা এবং এর উন্নয়নে কতটুকু কাজ করেছেন;

আপনাদের কারা কারা লালমনিরহাটের শিল্পীদের আর্থসামাজিক প্রতিষ্ঠার জন্য কি কি সহযোগিতা করেছেন;

আপনারা কারা কারা জেলার সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে কতটুকু সহযোগিতা করেছেন, কিভাবে উৎসাহ যুগিয়েছেন তার পরিস্কার তথ্য।

জাতীয় সংস্কৃতি নীতি, ২০০৬ (সংশোধিত ২০২১) বাস্তবায়নে একটি ইউনিয়ন পরিষদে কালচারাল খাতে বার্ষিক বরাদ্দ কত টাকা রাখা হয়?

এ খাতে জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদে কত টাকা বার্ষিক বরাদ্দ রাখেন আপনারা?

আজও কেন লালমনিরহাটে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক চর্চার পীঠস্থান, শতবর্ষী ঐতিহ্য এমটি হোসেন ইন্সটিটিউট পুন:সংস্কার হচ্ছে না? এ নিয়ে কেন আন্দোলন করতে হচ্ছে? তবে কী নেপথ্েয আপনাদের কেউ কেউ এ প্রতিষ্ঠানটির সম্ভাব্য ভূমি দখলদার?

প্রয়োজনীয় একখন্ড উন্মুক্ত জমির অভাবে অর্থ বরাদ্দ থাকার পরও কেন বারবার জেলা শিল্পকলা একাডেমির ভবন নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না? এটা হলে আপনাদের কার কার স্বার্থে আঘাত লাগবে? নাকি ভবনটি নির্মাণকাজ সংক্রান্ত ঠিকাদারি ভাগ-বাটোয়ারার সমাধান এখনো হয়নি?

স্বাধীনতার এ সুদীর্ঘ সময়ে কোন কোন রাজনৈতিক দল সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সময়ের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন আবার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছেন তা আজ ভাবনার বিষয়!

বলা হয় একটি জাতির আত্মপরিচয় তার সংস্কৃতি।

শ্রদ্ধেয়/প্রিয় ভাই সকল,

তাহলে আমাদের সংস্কৃতি কি?

এই বিভাগের আরও খবর