লালমনিরহাট বার্তা
রংপুরের সবজি যাবে রাজধানী সহ সারাদেশে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা
রংপুর অফিসঃ | ৬ নভে, ২০২১, ১০:৪০ AM
রংপুরের সবজি যাবে রাজধানী সহ সারাদেশে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা
রংপুরের কৃষকদের বন্যাও অতিবৃষ্টির কারনে আগাম সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ার ক্ষতি পুশিয়ে দিতে ব্যাপক পরিকল্পনা প্রহন করেছে কৃষিবিভাগ। জেলার আট উপজেলায় এই আগাম সবজি চাষে ১৯হাজার প্রান্তিক চাষীক কে এর আওতায় এনেছে। আর জেলা জুড়ে আগাম সবজির চাষ হয়েছে ২৮ হাজার ৫৫ হেক্টও জমিতে। কৃষি বিভাগের দেয়া বীজ ,সার, আর মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তদের তদারকিতে জেলা জুড়ে অল্প সময়েইে ক্ষেতে উপাদন করেছে নানান জাতের সবজির সমারাহ। সবজি ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক চাষিরা । এখন সবজির বাজারে সবজির দাম বেশ চড়া। ফলে অগাম সবজিতে লাভের মুখ দেখতে চাষীরা এখন সবজির মাঠে। এদিকে, এই জেলার তিনটি উপজেলায় বন্যায় কিছু সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষীরা তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি। তবে বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে সবজির দাম ভাল পাওয়ায় ক্ষতির একটা বড় অংশ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন সবজি চাষিরা। রংপুর কৃষিবিভাগের উপ পরিচালক ওবাইদুর রহমান মন্ডল ইত্তেফাককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বন্যায় ও অতি বৃষ্টিতে বিভিন্ন জাতের ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন স্বপ্নে বুক বেঁধে বাঁধাকপি, লাউ, পানিকুমড়া, ঢেরষ, করলা, শশা,দুধকুষি,কাকরোল,পোটল,ঝিঙ্গা,পালং শাক, জাতের সবজির চাষ নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। সবজির জমি প্রস্তুত অনেকেই ক্ষেত পরিচর্যায় মগ্ন। বীজ তলা পরিচর্যা নিয়েও ব্যস্ত অনেক চাষী। সব মিলে আগাম জাতের সবজি চাষ নিয়ে মহাযজ্ঞতায় সবজি চাষিরা।জেলার মিঠাপুকুর,তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, পীরগঞ্জ, পীরগাছা, কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া উপজেলার সবজি খ্যাত কয়েকটি গ্রামের সবজি চাষিদের সঙ্গে কথা হলে রবি মৌসুমের আগাম জাতের সবজি চাষ সম্পর্কে এমন তথ্য উঠে আসে।
রংপুর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা গুলোর প্রায় গ্রামের মানুষ কম বেশি সবজি চাষে মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে মিঠাপুকুরের রারিপুকুর ও পায়রাবন্দ ইউনিয়নের প্রায়২০টি গ্রাম সহ তারাগঞ্জের আলমপুর ও কুর্শা ইউনিয়নের কৃষরা নানা জাতের সবজি চাষের পাশাপাশি সবজির বীজ তলা করে থাকেন। নিজেদের স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি বিক্রি করেন। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি ব্যাপারিরা মিঠাপুকুর,তারাগঞ্জ হাটে সবজি কিনে ট্রাক ভরে নিয়ে যায়। এসব সবজির মধ্যে বেগুন, মূলা, শিম, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধা কপি-ফুলকপি, করলা, পালং শাক, লাল শাক ,বরবটি, ঢেরষ,শশা,গাজর অন্যতম। মিঠাপুকুরের উপজেলার গ্রাম গুলোতে গোটা বছরই কৃষকরা শীতকালনি সবজি চাষ কওে শত-শত কৃষক সাবলম্বী হয়েছেন।
জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা আলমপুর ইউনিয়নের চকতাহিরা এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষককে দেখা গেল সবজি খেত পরিচর্যা করছেন বাদশা আলম, নুর বক্ত, কিশোরী মোহন্ত, আজিজার সহ কয়েক জন কৃষক নারী শ্রমিক নিয়ে। ক্ষেতের মধ্যে গভীর মনো যোগে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে গাছের গোড়ায় পাসুন চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশা-পাশি তারা পাতা কপির গাছের গোড়ার মাটি বেধেঁ দিচ্ছেন।
তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা জানান, উপজেলার সবজি খ্যাত গ্রাম গুলোর রবি মৌসুমের আগাম জাতের নানা সবজি চাষ হচ্ছে। এসব সবজি আগাম বাজারে উঠাতে পারলে ভাল দাম পাওয়া যায়। এ কারনে চাষিরা আগাম জাতের সবজি চাষে প্রান্তিক চাষীরা দু টাকা লাভের আশায় ঝুকে পড়েছেন।
রংপুর কৃষিবিভাগের উপ পরিচালক ওবাইদুর রহমান মন্ডল জানান,চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজির ফলন হয়েছে জেলার ২৮ হাজার ৫৫ হেক্টও জমিতে।১৯ হাজার প্রান্তিক চাষী বেগুন, মূলা, শিম, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধা কপি-ফুলকপি, করলা, পালং শাক, লাল শাক ,বরবটি, ঢেরষ,শশা,গাজর,কলমী শাক, নাপাশাক চাষ করেছেন।আগাম শীতকালীন সবজির উৎপাদিত লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২০ মেট্রিক টন প্রতি হেক্টরে।
এই বিভাগের আরও খবর