লালমনিরহাট বার্তা
রংপুরের এক নিভৃত পল্লীতে কাচা সড়ক পাকা করার দাবীতে ধানের চারা রোপন করে এলাকাবাসীর অভিনব প্রতিবাদ
রংপুর অফিসঃ | ২ আগ, ২০২২, ৫:০৮ AM
রংপুরের এক নিভৃত পল্লীতে কাচা সড়ক পাকা করার দাবীতে ধানের চারা রোপন করে এলাকাবাসীর অভিনব প্রতিবাদ
রংপুরের গঙ্গাচড়ার এক নিভৃত পল্লীতে কাচা সড়ক পাকা করার দাবীতে ধানেসর চারা রোপন করে অভিনব প্রতিবাদ করেছেন এলাকা বাসী।তাদের দাবী ‘কতদিন ধরি একটা পাকা সড়কের জন্যে হামরা কষ্ট করোছি বাহে। হামার কষ্ট কি সরকারের চোকোত (চোখে) পড়ে না? বর্ষা নামলে রাস্তা দিয়্যা হাঁটা-ই যায় না। আর ভোট আসলে নেতারা আইসে আর কয় এবার রাস্তা ঠিক করা হইবে। কিন্তু ভোট শ্যাষে আর কাম হয় না।তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করার জনতে কতদিন ধরি মেম্বার, চেয়ারম্যান থাকি শুরু করি এমপি সাইবোক কওছি। কায়ো হামার রাস্তা কোনো পাকা করি দেওছে না। এ জন্যেই হামরা এবার রাস্তাত রোয়া ধান নাগাওছি বাহে। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ আর আক্ষেপ থেকে কথাগুলো বলেছেন, রাসেল মিয়া (৩৪)। দুর্ভোগ লাঘবে দীর্ঘদিন থেকে কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রতিবাদ জানাতে চলাচলের রাস্তারার ওপরের কাদায় ধানের চারা লাগিয়েছেন তিনি। অভিনব প্রতিবাদ জানাতে রাসেল মিয়া সহ গ্রমের শত শত মানুষ অংশ নেয়।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের কিশামত হাবুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উমর জামে মসজিদ সংলগ্ন মোজাহরুলের বাড়ির সামনে সোমবার সকালে কাঁচা রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগীরা জানান,গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের কিশামত হাবু থেকে উমর বালাটারী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পুরোপুরি কাঁচা সড়ক। বর্ষামৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুষ্কর। বিশেষ করে বর্ষাকালে রাস্তায় যানচলাচল তো দূরের কথা হাঁটা-চলাও তাদের জন্য কষ্টকর হয়। অথচ এই ৩ কিলোমিটার রাস্তার দুইধারে প্রায় ১ হাজার পরিবারের বসবাস করেন।দীর্ঘদিন কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার করে পাকাকরণের জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকার লোকজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেননি জন প্রতিনিধিরা।
এলাকার সোহরাব মিয়া(৪২) বলেন, হামার এই রাস্তা দিয়্যা(দিয়ে) গজঘণ্টা ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ প্রত্যেকদিন যাতায়াত করে।গ্রামের মানুষ ঠিক মতো মসজিদও যেতে পারেন না। বাড়ি থাকি বাহিরে মসজিদ যাবার সময় অনেকেই পা পিছলে পড়ে যায়। এই কষ্ট-দুর্ভোগ থেকে হামরা মুক্তি চাই।
গ্রামবাসী মোজাহারুল ইসলাম (৫৫)বলেন, বর্ষাকালে নামাজ পড়তেও যাওয়া যায় না। এমন দুর্ভোগ জেনেও মেম্বার-চেয়ারম্যান কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যার কারণে এলাকার সবাই আজকে আবাদি জমি ছেড়ে রাস্তার ওপর ধানের চারা রোপণ করে অভিনব প্রতিবাদ করছে।
গঙ্গাচড়া গজঘণ্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বলেন, রাস্তা দিয়ে আমি নিজেও চলাচল করি। বৃষ্টি হলে তো কাদা হবেই। এলাকার লোকজনের দাবির সঙ্গে আমিও একমত। কিন্তু এখন তো ইউনিয়ন পরিষদের ফান্ড নেই। তাছাড়া রাস্তাটি এলজিইডিকে দেওয়া হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর