মডেলিংয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পান। এখন অনেকের কাছেই তিনি মডেল। মিডিয়ায় নতুন নাম লেখানো অভিনেত্রীরা তার মতো হতে চান। তাকে অনুসরণ করে সাজাতে চান নিজেদের ক্যারিয়ারগ্রাফ। বলছিলাম জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার কথা।
ক্যারিয়ারের এক দশকে অনেকের কাছেই জনপ্রিয়তা অধরা থেকে যায়। তিশার বেলায় উল্টো। শুরুতেই পোষ মেনেছে জনপ্রিয়তা নামের সোনার হরিণ। এরপর নিজেকে ভেঙেচুরে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছেন যেখানে রানীর আসনটি তার। এজন্য অভিনেত্রীর সকল কৃতজ্ঞতা দর্শকের প্রতি।
সংবাদমাধ্যমকে তিশা বলেন, আমি জানি না নিজেকে কোথায় দেখতে চাই তবে অভিনয় ক্যারিয়ারে আমার সঙ্গে যাই ঘটেছে দর্শকের ভালোবাসা আমাকে স্ট্রংলি একটা পজিশনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। এজন্য আমি সবসময় আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আমি মনে করি, এই ভালোবাসা প্রাপ্তিটাই আমার জীবনের বড় অর্জন। যারা আমাকে ভালোবাসেন, তাদের বলবো এভাবেই আমার পাশে থাকবেন। কারণ, তারা ছাড়া আমি তানজিন তিশা কিছুই না।
তিশা অভিনেত্রী হিসেবে খাতা খুলেছিলেন রেদওয়ান রনির হাত ধরে। ২০১৪ সালে ‘ইউটার্ন’নাটকের মাধ্যমে হয়েছিল শুভ সূচনা। প্রকাশের পর উপচে পড়েছিল প্রশংসার ঝাঁপি। এরপর ছিল শুধুই এগিয়ে যাওয়ার পালা। তিশা পেরেছেন।
দর্শকের কাছে নিজেকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। হয়েছেন ছোটপর্দার সুপারস্টার। তার নাটক দেখতে ইউটিউবে মৌমাছির মতো ভিড় করেন দর্শক। ফলে সহঅভিনেতাদের মতো নির্মাতাদের কাছেও যেন তিনি স্বস্তির নিশ্বাস।
তিশা যেমন ব্যস্ত তেমনই সচেতন ক্যারিয়ার নিয়ে। আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েও কমফোর্ট জোনে যাননি। বরং চরিত্র নিয়ে খেলেছেন। নিজেকে ভেঙেছেন বারবার। ফলে ধনীর আদুরে দুলালীর মতোই শতভাগ মানিয়ে গেছেন প্রান্তিক খেটে খাওয়া নারীর চরিত্রে। পুতুলের সংসার, রিক্সা গার্ল, নরসুন্দরী নাটকগুলোই যেন তার প্রমাণ।