আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ১১তম বিপিএল। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্ট এটি। তবে ২০ ওভারের এই ক্রিকেট নিয়ে থাকে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। এবার বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে বিসিবি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দিচ্ছেন বিভিন্ন পরিকল্পনা। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে কাজও শুরু হয়েছে।
গতকাল মিরপুরে বিপিএলের লোগো উন্মোচন ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের নাম জানিয়েছে বিসিবি। সে সময়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে তুলে ধরেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ও বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। এবারের বিপিএল নিয়ে নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, 'আমাদের চেষ্টা থাকবে মাঠের খেলাটা যতটা পারা যায়, প্রতিযোগিতাপূর্ণ করা, যতটুকু নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসা যায়। আর ভেতরে আমরা যদি প্রোডাকশন, ধারাভাষ্যসহ প্রত্যেকটা ব্যাপারের কথা বলি, তাহলে সেগুলো যাতে আন্তর্জাতিক মানের যতটা কাছাকাছি যাওয়া যায়, সে চেষ্টা থাকবে। যিনি টিভিতে খেলা দেখবেন তিনি যেন ভালো কিছু দেখতে পান, সেই চেষ্টাই থাকবে। এমনটা না যে, এখনই আমাদের মানটা একেবারে বিশ্বমানের হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকবে আগে যেমন হতো, তার চেয়ে একটু ভালো।'
দর্শকদের বিষয়ে ফাহিম বলেছেন, 'আমি চাইব একজন দর্শক মাঠে ঢোকা থেকে বের হওয়া পর্যন্ত কোনো হেনস্তার শিকার না হয়। ভেতরে খাবারের দাম যেমন হওয়া উচিত, তেমন যেন হয়। ওয়াশরুম ব্যবহার থেকে শুরু করে পানি পান, এমনও হতে পারে পানির জন্য কোনো টাকাও দিতে হবে না। একজন দর্শক পরিবার নিয়ে মাঠে এসে যেন নিজের মনে করতে পারেন পুরো আয়োজনকে। যেন তারা পরের দিন আবার মাঠে আসার আগ্রহ পান।'
এবারের আয়োজন নিয়ে বিসিবি পরিচালকের প্রত্যাশা, 'প্রত্যেকে মনে করবে এটা তারই। কেউ হয়তো একটা টকশোর অনুষ্ঠান, কেউ হয়তো একটা মেলা করবে তার জায়গায় বিপিএলকে মাথায় রেখেই। বিপিএলটাকে এবার আমরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছি।'
রাজধানী ও ঢাকার বাইরে বড় পর্দায় ম্যাচ উপভোগের সুযোগ করে দিতে চায় বিসিবি। নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, 'স্টেডিয়ামের বাইরে, এমনকি ঢাকার বাইরেও জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে। টিভিতেও যারা খেলা দেখবে, তারা যেন ভালো কিছু দেখতে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। বলছি না এক আসরেই টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ড ক্লাস হয়ে যাবে। কিন্তু আগের আসরের চেয়ে ভালো হবে। সামনের বছরগুলোতে আরও ভালো হবে বিপিএলের মান। এবারের বিপিএলে ই-টিকিটের প্রাধান্য থাকবে বেশি, ৮০-৮৫ শতাংশ হতে পারে।'