মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৯৭২ সালের ৭ই আগষ্ট প্রকাশিত গেজেট মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারন পূর্বক মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ও চুড়ান্ত তালিকা প্রনয়ন, মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসাবে ঘোষনা দিয়ে মর্যাদা নির্ধারন পূর্বক আইন প্রনয়ন, জামুকা ঘোষিত ৩৩ ক্যাটাগরিতে মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা বাতিল পূর্বক ভুয়া মুক্তিযোদ্বাদের তালিকা বাতিলসহ ৭ দফা দাবিনামা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী পরিষদ’৭১ এর আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়।
এ উপলক্ষে ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় তোপখানা রোড়ে একটি আবাসিক হোটেলের সভাকক্ষে বিভিন্ন সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী দেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা গেরিলা লিডার এস এম শফিকুল ইসলাম কানু, বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ গেরিলা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান প্রমুখ।
সভায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলীকে আহবায়ক, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমেদকে যুগ্ন আহবায়ক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা গেরিলা লিডার এস এম শফিকুল ইসলাম কানুকে সদস্য সচিব নিবার্চিত করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী’৭১ কমিটি গঠন করা হয়।
নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা তৌছিফুল বারি খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান, বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিঃ মতিউর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ওহিদুজ্জামান ভুইয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান সরকার, বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিমুদ্দিন আহমেদ গেরিলা, বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজি আব্দুল মকিম মন্টু, বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর আজিজ টুকু মোল্লা ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী।
সভায় আহবায়ক কমিটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যকে সংযুক্ত করন ও বাংলাদেশ মুক্তিবাহীনি পরিষদ’৭১ এর প্রণিত ৭ দফা দাবি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টার নিকট হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।