কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশিকুর রহমান আশিক হত্যা মামলার আসামি কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান টিপু (৪৯)ও যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জিয়ন (৪৬)কে রোববার দিনগত রাতে নিজ বাড়ী থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা দুই জন আপন ভাই।
গ্রেফতারকৃত দুই জন, কুড়িগ্রাম পৌর সভার নাজিরা ব্যাপারি পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রউফ মন্ডলের ছেলে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম।
জানা গেছে, আশিক হত্যার ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলার তিন সাংবাদিক ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ আওয়ামীলীগের ১০৪ জন নেতাকর্মীর নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামী করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো.রুহুল আমিন বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। রুহুল আমিন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের সেনের খামার গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত আশিক কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে। উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার দিন আশিক ও তাঁর ছোট ভাই আতিকুর রহমান মিছিলে গিয়েছিলেন। পরে আশিক মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হলে প্রথমে বাসায় আসেন। পরে আঘাতের ব্যাথায় বমি করলে ১৮ আগস্ট প্রথমে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে ১ সেপ্টেম্বর আশিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
কুড়িগ্রাম সদর থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম জানান আশিক হত্যা মামলার আসামি দুই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে