মোটরসাইকেল আটক করে কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে হুমকি দিয়েছেন পাটগ্রাম পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী আবু সায়েম প্রধান ওরফে শাহিন। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল
হওয়া ভিডিওতে আবু সায়েম প্রধানকে বলতে শোনা যায়, "আর পাটগ্রামে থাকা হবে না! আমার
পুলিশের বড় পদে বন্ধু রয়েছেন—এসপি, এমনকি ডিআইজি পদেও রয়েছেন।"
ওই
ভিডিওতে দেখা যায়, মোটরসাইকেল আটক করে কাগজপত্র চাওয়ার সময় পাটগ্রাম পৌরসভার সহকারী
কর আদায়কারী ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যের ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে স্থানীয়রা
তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট (টিআই) জিয়াউর রহমানকে উদ্দেশ্য
করে আবু সায়েম প্রধান বলেন, "তোর বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন হবে। আমার অনেক বন্ধু পুলিশে,
বড় বড় পদে আছেন, ডিআইজি পদেও রয়েছেন।" হুমকি দিয়ে তিনি মোটরসাইকেলে চড়ে চলে যান।
পুলিশ
ও স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে পাটগ্রাম আন্তঃজেলা রোডের কালীমন্দির
এলাকায় ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে
চাইলে আবু সায়েম প্রধান পরিচয় দেন। মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকায় মামলা দেওয়ার কথা
বলতেই তিনি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
তবে
আবু সায়েম প্রধান মুঠোফোনে বলেন, "দ্রুত এক জায়গায় যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। ওই সময়
আমার গাড়ি আটকানো হয়, তাই একটু কথাকাটি হয়েছে। এটা কোনো বড় বিষয় নয়। আমি কোনো ধরনের
হুমকি দিইনি।"
এ
বিষয়ে ভুক্তভোগী ট্রাফিক সদস্য (এসআই) সোহাগ ইসলাম বলেন, "কয়েকদিন আগে আবু সায়েম
প্রধানের মোটরসাইকেল আটক করে কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তিনি
ট্রাফিক সার্জেন্ট স্যারের কাছে ক্ষমা চান বলে শুনেছি।"
পাটগ্রাম
ট্রাফিক সার্জেন্ট (টিআই) জিয়াউর রহমান বলেন, "মোটরসাইকেলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
দেখাতে বললেই তিনি রেগে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। একপর্যায়ে বলেন, ‘আমার পুলিশের
বড় বড় পদে বন্ধু আছে।’ এমনকি পাটগ্রামে আমাকে থাকতে দেবে না বলেও হুমকি দেন।"
তিনি
আরও বলেন, "এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ জানাইনি। প্রয়োজন হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে
বিষয়টি জানাব।"