কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কিশোরীকে আঠারোদিন আটকিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণ চিত্র মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ মামলার প্রধান আসামি ফজুল(৪৮)ড্রাইভারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায় কিশোরীর মামলা রুজুর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে গতকাল শুক্রবার রংপুরের নব্দিগঞ্জ বাজার থেকে রাজারহাট থানা পুলিশ প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতার ফজলু ড্রাইভার লালমনিরহাট জেলার চর গোকুন্ডার টেংরা মামুদের পুত্র।জানা গেছে,প্রথম রমজানের দিন দুপুরে ফজলু ও রোজিনা আমাকে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসে,সেই রাতে ফজলু আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে,তখন আমি মোবাইল ফোন কেড়ে নেই,তখন বিছানায় থাকা রামদা দিয়ে হুমকি দেয় আর বলে আমার কথায় রাজি না হলে তোকে মে-রে ফেলবো,শুধু তোকেই নয় তোর বাবা মাকেও মেরে ফেলব।রোজিনা ও ফজলু দম্পতির বাড়ীতে যারা আসে তাদের সঙ্গে শেয়ার করাও সুযোগ পাইনি।কয়েকদিন পরে বাবা অসুস্থ খবর শুনে বলি বাড়ী যাব।সেইরাতে আমার কাছে আসে ভ্যান চালক সেলিম,সেলিম আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে,আর খারাপ ব্যবহারের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করছে ফজলু,সেই মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিলাম।মোবাইল কেড়ে নেয়ায় শারিরীক নির্যাতন করে এসব ভিডিও ৩২জিবি মেমোরি কার্ডে সেভ রাখছে তারা। কোন উপায় না পেয়ে প্রতিবেশীদের কাছে শেয়ার করি,তারা বাড়ীতে খোঁজ খবর নিতে আসলে তাদের উপরে আক্রমণ চালায়।গতকাল আমি মামার বাড়ীতে আসলে ফজলুর লোকজন আমাকে তুলে নিতে আসলে আমি পালিয়ে এ বাড়ীতে আসি।বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা
ইউনিয়নের একুশের বাজার নামক এলাকার বাসিন্দা বাছের উদ্দিনের বাড়ী থেকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করে রাজারহাট থানায় হস্তান্তর করেন।ওইদিন রাতে কিশোরী বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে এজাহার দায়ের করেন রাজারহাট থানায়।রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মো: তসলিম উদ্দিন গ্রেফতার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন শনিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে আসামিক জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।