রংপুর নগরীর নবাবগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে দোষী ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করেছে।খবর পেয়ে সেনা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। দাবী পূরণের আশ্বাসে রাত সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিওে যান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার (৮মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবাবগঞ্জ বাজারের সিটি পোষাক হাউজের সামনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী কথা বলছিলেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা তাদের সরে যেতে বলেন।এনিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের ইলেট্রিক্যাল-ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ ও শরীফকে বেধরক মারপিট করে। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ীদের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করতে থাকে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে রাস্তার দু’ধাওে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতিনিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এতেও শিক্ষার্থীরা শান্ত না হলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শিক্ষার্থীদের উপর ব্যবসায়ীদের হামলা ও সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জেও ঘটনায় বিক্ষুব্ধ তারা হাড়িপট্টি রোডে অবস্থান করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুরর হমান বলেন, ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়ে আমাদের দুই ভাইকে গুরুতর আহত করেছে। তারা বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বিচারের জোর দাবী জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থী আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের ব্যবসায়ী মারলো, ছাত্র পরিচয় দেওয়ারপরেও সেনাবাহিনীরআমাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। আর এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ ব্যাপাওে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, আমি ঘটনা স্থলে আছি।বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গেছে।