আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা কালীন নাম ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ পূণর্বহাল করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।নাম পূনর্বহালে আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর, ভাইস চ্যান্সেলর, শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। এসব দাবীর স্বপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতকরা ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। তাই আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন নাম পূনর্বহাল করা না হলে শাটডাউন কর্মসূচীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়াহবে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী)সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানফ টকের সামনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বৈষম্য বিরোধীছাত্র আন্দোলন মহানগরের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রহমত আলী ও শামসুর রহমান সুমন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
রংপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসলছিল‘ রংপুরবিশ্ববিদ্যালয়’ যা ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর নামকরণ করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নও নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাবী করতে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখওয়াত হোসেনের নামটি ব্যবহার করে। যার কোন যৌক্তিকতা সে সময় লনাবরং বেগম রোকেয়ানামেবিশেষায়িতএকটিবিশ্ববিদ্যালয়রংপুরে স্থাপনকরা যেত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে রংপুরে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ রংপুরবাসী আন্দোলন করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় টিতে ৮টি অনুষদ এবং ৪৪টি ডিপার্টমেন্ট থাকার কথা থাকলেও তা আজও আলোর মুখ দেখেনি। প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আবাসন, পরিবহন সংকট তীব্র রয়েছে। যে সরকারের নির্দেশে আবু সাঈদের তাজা প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সেই সরকারের কোন চিহ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারেনা। নাম পূনর্বহালে আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর, ভাইস চ্যান্সেলর, শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। এসব দাবীর স্বপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতকরা ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। তাই আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন নাম পূনর্বহাল করা না হলে শাটডাউন কর্মসূচীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়াহবে।